প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বর্তমানে তামিলনাড়ুর কারখানায় তৈরি হয় ‘বুড়িমা’র যাবতীয় আতশবাজি। সেখানে প্যাকেজিংয়ের পর তা চলে আসে হাওড়ার বিভিন্ন স্টোর হাউসে। তারপর সেই বাজি বাংলার বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যে পাঠানো হয়। দীপাবলির আগে বেলুড়ের পিয়ারীমোহন মুখার্জি স্ট্রিটে বুড়িমার বাড়ি থেকে বাজি কিনতে দিনভর ভিড় লেগে রয়েছে এবারও। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, বিভিন্ন জেলা থেকে নানা বয়সের ক্রেতারা বাজি কিনতে এসেছেন। বুড়িমা’র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দেশভাগের কিছুদিনের মধ্যে, ১৯৪৮ সালে ওপার বাংলায় স্বামীর মৃত্যুর পর ভিটেমাটি হারিয়ে এপার বাংলায় পা রেখেছিলেন অন্নপূর্ণা দাস। সঙ্গে তাঁর দুই শিশুসন্তান। তাঁদের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দিতে অন্নপূর্ণাদেবী প্রথমে শুরু করেছিলেন বিড়ির ব্যবসা। তারপর শুরু করেন সেলাইয়ের কাজ। কোনও চেষ্টাই সাফল্যের মুখ দেখেনি। তারপর এরকমই এক কালীপুজোর আগে তিনি শুরু করলেন বাজির ব্যবসা। সেবার তিনি তৈরি করালেন গোলাকার সাইজের এক বিশেষ ধরনের শব্দবাজি। কয়েকবছরের মধ্যেই মানুষ সেই বাজিকেই চিনতে শুরু করল ‘বুড়িমার চকলেট বোম’ নামে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি অন্নপূর্ণাদেবী ওরফে বুড়িমাকে। দিনে দিনে আতশবাজির বাজারে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন তিনি। পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের সদস্য সুমিক দাস বলেন, ‘গত বছর পর্যন্ত ৯০ ডেসিবেল পর্যন্ত ছিল বাজির শব্দসীমা। এবছর সেটা ১২৫ ডেসিবেল করার অনুমতি মিলেছে। ফলে বাজিতে অভিনবত্ব আনার সুযোগও বেড়েছে। ভালো সাড়াও পাচ্ছি মানুষের।’ -নিজস্ব চিত্র