প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
প্রাইভেট রোড লক্ষ্মীনগর শ্যামাপুজো ৭৩ বছরে পা দিয়েছে। থিম ‘অঙ্গীকার’। তালপাতা, বাঁশ সহ প্রকৃতির নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়েছে নয়নাভিরাম মণ্ডপ। যার ছত্রে ছত্রে রয়েছে প্রকৃতি রক্ষার বাঙ্ময় বার্তা। মণ্ডপে মায়ের নানা রূপ প্রত্যক্ষ করবেন দর্শনার্থীরা। প্রধান পৃষ্ঠপোষক সুরজিৎ রায়চোধুরী বলেন, পরিবেশ বাঁচানোর বার্তাই তুলে ধরা হয়েছে। দমদম এম সি গার্ডেন রোড তরুণ সঙ্ঘের শ্যামাপুজো ৭৫ বছরে পড়েছে। থিম তালপাতার চুটকি কথা। হারিয়ে যাওয়া তালপাতার পুঁথি, পটচিত্র, টুপি, পাখা, সিপাই, পাখি বঙ্গজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। তালপাতার তৈরি নানা শিল্প তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে।
৫৯ বছরে পা দেওয়া দমদম বন্ধুবান্ধব ক্লাবের শ্যামাপুজোর থিম সবুজের শহর। ইট-কাঠ-পাথরের জঙ্গলে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সবুজের রূপকথা। আসল মুক্তো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কালী ও শিবের মূর্তি। সমুদ্রের ঝিনুক ও শঙ্খ দিয়ে করা হয়েছে অঙ্গসজ্জা। বাউল বেকারি আমরা সবাই ক্লাবের শ্যামাপুজো ৬২ বছরে পা দিয়েছে। থিম রানার। গাছের ছাল সহ নানা প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। প্রতিমায় রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। আমরা সবাই দমদম উজ্জ্বল সঙ্ঘের শ্যামাপুজো ৪৭ বছরে পড়েছে। তাদের থিম ‘রঙ্গমঞ্চ’। জীবনের রঙ্গমঞ্চকে অসামান্য মুন্সিয়ানায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সাউথ দমদম অ্যাভিনিউ স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো ৫৯ বছরে পদার্পণ করেছে। থিম ‘কাকতালীয়’। সমাজবন্ধু কাকদের হাহাকার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপে। হবে পথনাটিকা। ৪২ বছরে পা দেওয়া মধুগড় মিলন চক্রের পুজোর থিম ‘পুতুল ঘরের রহস্য কথা’। পুতুল দিয়ে সেজে উঠেছে মণ্ডপ। মধুগড় অগ্রদূত সঙ্ঘের পুজো এবার ৫০ বছরে পা দিয়েছে। ৫০ ফুটের মহাকালী তৈরি করে চমক দিয়েছে তারা। মধুগড় অধিবাসীবৃন্দের শ্যামাপুজো ৫৬ বছরে পা দিয়েছে। সবুজ রক্ষায় তাদের থিম ‘দাও ফিরিয়ে সেই অরণ্য’। মা আসছেন থিমের সাজে।
সুভাষনগর মিলন সমিতির পুজো ৭৩ বছরে পদার্পণ করেছে। অরণ্য সংরক্ষণের ভাবনায় সেজে উঠেছে মণ্ডপ। ৫৯ বছরে পা দেওয়া খামখেয়ালি সঙ্ঘের শ্যামাপুজোর থিম ‘ডাকঘর’। হাতে লেখা চিঠি, লেটার বক্স দিয়ে সেজে উঠেছে মণ্ডপ। চিঠির বস্তা হাতে পিওনের হাঁকডাকও দেখা যাবে মণ্ডপে। দক্ষিণ দমদমের বহু পুজো কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা প্রবীর পাল বলেন, দমদমে শক্তি আরাধনার রীতি দশকের পর দশক ধরে চলছে। স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সকলেই সামাজিক বার্তা ফুটিয়ে তুলেছে। নিজস্ব চিত্র