প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটের পর প্রশাসনিক বৈঠকে বেআইনি নির্মাণের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষেত্রে যে সমস্ত ফাঁকফোঁকর আছে, সেগুলি পূরণ করতে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে এ বিষয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে যায় পুরদপ্তর ও পঞ্চায়েত দপ্তরের অন্দরে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্যজুড়ে অনলাইনে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের পরিষেবা চালু হয়েছে। তারপরও আমাদের কাছে খবর আসছে, অধিকাংশ পুরসভায় পুরনো আবেদনের মোড়কে অফলাইনে বিল্ডিং প্ল্যান বেরিয়ে যাচ্ছে। এটা একটা মারাত্মক ব্যাপার। আমরা এই প্রবণতা বন্ধ করতে চাইছি। তা না করতে পারলে যাবতীয় নজরদারি এড়িয়ে বিল্ডিং প্ল্যান ছাড় পেয়ে যাবে এবং অবৈধ নির্মাণ ঠেকানো যাবে না। তাই নতুন বছর থেকে অফলাইনে বিল্ডিং প্ল্যানের আবেদন, অনুমোদন সবটাই বেআইনি বলে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নিয়মের ফাঁক গলে একটি শ্রেণিকে কিছু অন্যায্য সুবিধা পাইয়ে দিতে সক্রিয় রয়েছে একাধিক অসাধু চক্র। পুরসভার অন্দরে এসব চক্রের মাথাদের হাত অনেক লম্বা বলেও শোনা যায়। ফলে নিয়মের যতই বজ্র আঁটুনি হোক না কেন, অফলাইনের সুযোগ নিয়ে অবৈধ নির্মাণ তুলতে সমস্যা হচ্ছে না। তাই সরকার স্বচ্ছতার স্বার্থে এসব চক্রের কারসাজি পুরোপুরি বন্ধ করতে চাইছে। আর তা করতে গেলে গোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অনলাইন করা ছাড়া উপায় নেই। এক আধিকারিক বলেন, ‘পুর এলাকায় বিল্ডিং প্ল্যান সংক্রান্ত সমস্ত কাজই এখন অনলাইনে সম্ভব। অনলাইনে পাওয়া বিল্ডিং প্ল্যানের শংসাপত্রে কিউআর কোড দেওয়া থাকে। কিন্তু অফলাইনে তা থাকে না। তখন বলে দেওয়া হয়, পুরনো আবেদনের ভিত্তিতে প্ল্যানটি অনুমোদিত হয়েছে। অফলাইন বিষয়টিই বেআইনি হয়ে গেলে এই অজুহাত কাজে লাগবে না।’