প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
মহেশতলা থানা এলাকার চেতলার ১৭৮ নম্বর পিয়ারি মোহন রোডে বাড়ি শৌভিকদের। ভাইয়ের আব্দারে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে নিয়েই বাইকে করে নুঙ্গিতে বাজি কিনতে গিয়েছিল অভিজিৎ। সেখানে বিভিন্ন দোকান ঘুরে ব্যাগ ভরে বাজি কিনে বাড়ির পথ ধরেছিল দুই ভাই। বাটানগরের কাছে সম্প্রীতি ফ্লাইওভারে ওঠার পর উল্টো দিক থেকে আসা একটি ছোটা হাতির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তাদের বাইকের। দু’জনেই ছিটকে পড়ে সেতুর উপর। রক্তারক্তি কাণ্ড। ব্যাগ থেকে ছড়িয়ে পড়ে বাজি। ছোটা হাতির সামনের কাচ ভেঙে জখম হন ওই গাড়ির চালকও। পুলিস খবর পেয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দাদা অভিজিৎকে হালদারকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বছর দশেকের শৌভিক ছিল সংজ্ঞাহীন। তাকে দ্রুত এস এস কে এম হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এখন চিকিৎসাধীন সে। ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র পুলিস গিয়ে জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। তবে অভিজিৎকে বাঁচানো যায়নি। ভাইকে ঠিক সময়ে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তার প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। পুত্রশোকে জর্জরিত হালদার পরিবার। গোটা পাড়াতেই যেন এক লহমায় অমাবস্যা নেমে এসেছে। ম্লান হয়েছে আলোর উৎসব। পরিবারের কেউ কথা বলার অবস্থায় নেই। শৌভিকের মা কাঁদতে কাঁদতে মাঝেমধ্যেই ছেলের নাম ধরে ডেকে উঠছেন। সংজ্ঞা হারাচ্ছেন ঘন ঘন।