সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: শব্দবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ। আবার ছোটদের হাতে তা দিলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আতশবাজির চাহিদা বাড়ছে বাজারে। পাশাপাশি বেড়েছে ইলেকট্রিক বাজির চাহিদা। এ বছর কালীপুজোর আগে শব্দবাজির জায়গা কেড়ে নিল বৈদ্যুতিক রঙিন আলোর বাজি। এই আলোর ঝাড়বাতিতে মেতেছেন কাকদ্বীপবাসী। সুইচ অন করলে অলোর সঙ্গে বাজি ফাটার আওয়াজও শোনা যাবে। বাজারে বিকোচ্ছে এহেন বৈশিষ্ট্য যুক্ত ‘চুটপুট’। কালীপুজোর আগে কাকদ্বীপ বাজারে এখন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই বাজি। সাড়ে তিন ফুট লম্বা রঙিন আলোর ঝাড়ের সঙ্গে লাগানো রয়েছে কুড়িটি সেন্সর যুক্ত দোদোমা বাজির মতো দেখতে একটি করে বাক্স। বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেই জ্বলে উঠছে রকমারি রঙিন আলো। আর রিমোর্ট টিপলেই আলোর ঝলকানির সঙ্গে লঙ্কা ফটকার শব্দ। জানা গিয়েছে, ২৮০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে এই রঙিন ঝাড়বাতি। তবুও কেনার জন্য দোকানে লাইন লাগিয়েছেন ক্রেতারা।
স্থানীয় বাসিন্দা অনিল দাস বলেন, ‘এখন বাজারে শব্দবাজি বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ছোট শিশুরাও শব্দবাজি দেখলে ভয় পায়। কিন্তু ঝাড়বাতিটি মূলত ছোটদের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। রঙিন আলোর ঝলকানির সঙ্গে লঙ্কা ফটকার শব্দে বাড়ির ছোট শিশুরা খুবই আনন্দ করছে।’ কাকদ্বীপের এক বৈদ্যুতিক ব্যবসায়ী মৃণাল ভাণ্ডারী বলেন, ‘এবছর বাজারে চুটপুটের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দু’দিনে দোকানে ৫০টিরও বেশি বিক্রি হয়েছে। এই মুহূর্তে পাইকারি বাজারে আর সেভাবে চুটপুট পাওয়া যাচ্ছে না। তাই প্রচুর ক্রেতা কিনতে না পেরে ঘুরে যাচ্ছেন। আগামী বছর এই রঙিন আলোর ঝাড়বাতি চুটপুটের চাহিদা অনেকটাই বাড়বে।’ নিজস্ব চিত্র