প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বর্তমানে রামপ্রসাদের ভিটেতে মন্দির পরিচালনা করে হালিশহর গুডউইল ফ্যাটারনিটি। ওই সংস্থার সদস্য, মন্দিরের পুজারি এবং কাউন্সিলার দীপঙ্কর চক্রবর্তী জানান, কবি রামপ্রসাদ তিনশো বছর আগে তাঁর হাতে গড়া মূর্তি নিয়ে গঙ্গায় ডুব দিয়েছিলেন। এরপর স্বপ্নাদেশ পেয়ে অসমের এক ব্যক্তি মায়ের বর্তমান মূর্তিটি তৈরি করেছেন। তার বয়স একশোর বেশি হবে। সেই মূর্তিকেই পুজো করা হচ্ছে। রোজ চার বেলা পুজো হয়, মাকে ভোগও দেওয়া হয়। রামপ্রসাদ সেন যেভাবে পুজো করতেন, ঠিক সেভাবেই পুজো হয় এখনও।
এছাড়া এই মন্দিরে ২৬ জানুয়ারি একটি বিশেষ অন্নকূট উৎসব হয়। হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়। আর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিন শ’পাঁচেক মহিলা গঙ্গা থেকে মাথায় কলস করে জল নিয়ে এসে মাকে স্নান করান। রামপ্রসাদের ভিটের মাকে সকলে জগদীশ্বরী মা বলে ডাকেন। শ্যামাপুজোর রাতে পাঁচজন পুরোহিত মায়ের পুজো করেন। হোম, আরতি, পুষ্পাঞ্জলি হয়।
রামপ্রসাদের ভিটের জায়গাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। তবে শুধু এই ভিটে নয়, হালিশহরের সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরকেও হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে। হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, হালিশহরের মাটিতে সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন, রানি রাসমণি, বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বিখ্যাত মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন। এই স্থান পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র