প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
উদ্বিগ্ন চোখ-মুখ। ভ্রু কুঁচকে এমনই প্রশ্ন তুললেন গল্ফগ্রিন এলাকার বাসিন্দা প্রভা সেন। বয়স ৭৩ বছর। স্বামীর বয়স ৭৯ বছর। ছেলে, মেয়েরা সবাই বাইরে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে কালীপুজোর রাতে শব্দদানবের জেরে ‘আক্রান্ত’ হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন এই দুই প্রবীণ নাগরিক। এই আশঙ্কা শুধুমাত্র গল্ফগ্রিনের সেন দম্পতির নয়। শব্দবাজির তাণ্ডবে ঘুম শিকেয় উঠেছে শহরের বেশিরভাগ প্রবীণ মানুষের। চিন্তায় কলকাতা পুলিসের দেখাশোনার আওতায় থাকা ‘প্রণাম’ প্রকল্পের প্রবীণরাও। উত্তর কলকাতার বাগবাজারের বাসিন্দা চিত্রদীপ দাশগুপ্ত বলেন, কলকাতা পুলিস সারা বছর আমাদের দেখভাল করে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে মন দিয়ে শোনে। তা থেকে নিস্তারের পথও বাতলে দেয়। কিন্তু, কালীপুজোর সময় আমরা বারবার শব্দবাজির প্রকোপ রোখার অনুরোধ করলেও তাতে কেউ কর্ণপাত করে না। বাগবাজার উইমেনস কলেজের আশপাশে প্রচুর শব্দবাজির ফাটার অভিযোগ ওঠে প্রতি বছর। তবে এবার বাজিতে শব্দের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হতে পারে বলে আশঙ্কা চিত্রদীপবাবুর।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রবীণ নাগরিকদের কোনও সমস্যা হলে ১০০-ডায়াল করে বা স্থানীয় থানায় ফোন করে জানাতে পারবেন। পুলিসের তরফে পিসিআর ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম, হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট আটকাতে শহরজুড়ে নাকা তল্লাশি ও সারপ্রাইজ টহলদারি চলছে।
লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে শহরজুড়ে মোট ১ হাজার ৮০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭ জনকে। লালবাজারের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ জানিয়েছেন, কালীপুজোর রাতে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে রাজপথে নামানো হবে পাঁচ হাজার পুলিসকর্মীকে। একইসঙ্গে নজরদারি চালাবেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার থেকেই রাতের শহরে শুরু হয়েছে অতিরিক্ত নজরদারি। তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৫০০টি পুলিস পিকেট। নিরাপত্তায় জোর দিতে শহরের সমস্ত থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।