প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
দমকল ও লালবাজার জানিয়েছে, ফানুসে নিষেধাজ্ঞার প্রধান কারণ, জ্বলন্ত অবস্থায় সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। রকেট, শেল, শট ইত্যাদি বাজিতে আগুন দেওয়ার পর তা গতিপ্রাপ্ত হয়ে আকাশে উড়ে যায়। হাওয়া থাকলেও সে সমস্ত বাজি বিশেষ দিকভ্রষ্ট হয় না। দাহ্য উপাদান শেষ না হওয়া পর্যন্ত উড়তে থাকে। বারুদ শেষ হয়ে গেলে আগুন সম্পূর্ণ নিভে যায়। ফলে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা কম। ফানুসের ক্ষেত্রে চিত্রটা সম্পূর্ণ বিপরীত। সবথেকে বড় সমস্যা ফানুস ওজনে হালকা। অল্প হাওয়াতে দ্রুত দিক পরিবর্তন করে। কাপড় দিয়ে তৈরি। ফলে দ্রুত আগুন ধরে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। পুলিসের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়াতে বহু ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা গিয়েছে, ওড়ার সঙ্গে সঙ্গে বা মাঝ আকাশে হাওয়ার দাপটে দাউ দাউ করে জ্বলছে ফানুস। কাপড়ে আগুন ধরলেই সেটি নীচের দিকে নামতে থাকে। কোথায় গিয়ে কোথায় পড়বে তার ঠিক ঠিকানা থাকে না। আর পড়ার পর দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
দমকল ও পুলিসের দাবি, জ্বলন্ত ফানুস কোনও মণ্ডপের উপর পড়লে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটার সম্ভাবনা। ফানুসের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে পেট্রল পাম্পে গিয়েও তা পড়তে পারে। ফলে সবকিছু বিচার করে এবছর ফানুস ওড়াতে নিষেধ করছে লালবাজার ও দমকল। টালা, শহিদ মিনার, বেহালা কিংবা কালিকাপুর— শহরের কোনও বাজি বাজারেই ফানুসের দেখা নেই। উদ্যোক্তারা বলেন, সমন্বয় বৈঠকের সময়ই দমকল ও পুলিস ফানুস নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তাই এ বছর বিক্রিযোগ্য বাজির তালিকায় ফানুস নেই।
অন্যদিকে, কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে স্কুলপড়ুয়াদের তার পাঠ দিল পুলিস। গড়িয়া ট্রাফিক গার্ড আয়োজিত কর্মশালায় পাটুলির একটি স্কুলে গিয়েছিলেন এসিপি সমীর পাঁজা। তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড়শোরও বেশি পড়ুয়াকে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সাবধানতা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। নিরাপদ দূরত্ব থেকে বাজি পোড়ানো, সঙ্গে জলের বালতি রাখা, সবুজ বাজি ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।’