প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
গুড়াপে চোপা বড়মা জাগ্রত দেবী। প্রায় ৪৫০ বছর হল তাঁর পুজোর। পারিবারিক হলেও পুজোতে অংশগ্রহণ করে সব গ্রামবাসী। একসময় এই জায়গায় শ্মশান ছিল। কনাথ বিদ্যাবিনোদ নামে একজন পুজোর সূচনা করেছিলেন। আর একটি বিশেষ প্রথা রয়েছে এখানে। পুজোর সময় দু’বার বলি দেওয়ার নিয়ম। পুজোর ফল কাটা সহ অন্যান্য ভোগ কোনও মহিলা রান্না করেন না। শুধুমাত্র দীক্ষিত পুরুষরাই ফল কাটতে পারেন। ভোগে দেওয়া হয় ৫১ পদ। বিশেষ পদ শোলমাছ পোড়া। পুজোর সময় গ্রামের বিভিন্ন পুকুরে জাল ফেলেন বাসিন্দারা। তারপর শোলমাছ ধরে মন্দিরে উৎসর্গ করেন। আর ওই মুসলমান পরিবারের সদস্যরা লাউ শাক রেঁধে দিয়ে যান।
এই পরিবারের লাল্টু মুখোপাধ্যায় জানান, দেবীকে এই এলাকার মানুষ চোপা বড় মা বলে ডাকেন। মানুষ যে কোনও দুর্দশা ও সমস্যায় পড়লে প্রথমেই আসেন দেবীর কাছে। কালীও কাউকে নিরাশ করেন না। মনস্কামনা পূরণ করেন। পুজোর সময় হিন্দু-মুসলমানের সমান প্রবেশাধিকার। কোনও ভেদাভেদ নেই। পুঁথি মতে পঞ্চমুণ্ডির আসনে ৯ তন্ত্রসাধনার বীজমন্ত্রে পুজো হয়। পুজোর পরের দিন সন্ধ্যায় হয় জাঁকজমকপূর্ণ শোভাযাত্রা। গ্রামের জমিদার বাড়ির বাওনা পুকুরে বিসর্জন হয়। প্রতিবছর দূর-দূরান্ত থেকে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা আসেন পুজোয় যোগ দিতে।