প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন আমহার্স্ট স্ট্রিট চত্বর কালীপুজোর ভরকেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত। এখানে এলে একের পর এক সেরা পুজো। থিমের চাকচিক্য না-থাকলেও মণ্ডপ, প্রতিমা নজর কাড়বেই। দুর্গাপুজোয় যেমন কলকাতার উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের লড়াই চলে, তেমনই থাকে আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার কালীপুজোরগুলির মধ্যেও একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। প্রতিবছরই অনন্য প্রয়াসের মাধ্যমে আমহার্স্ট স্ট্রিট সাধারণ শ্রীশ্রী কালীপুজো উৎসবের পরিবেশকে আরও আলোকোজ্জ্বল করে তোলে। ৮৩ বছরের পুজোতে এসেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। পুজোকে ঘিরে মেলা, খাবারের দোকান, হরেকরকম জিনিস বিক্রি সবই রয়েছে। প্রতিমায় সেই সাবেকি সাজ আজও বর্তমান। সোমেনের উত্তরসূরি বাদল ভট্টাচার্য, রামচন্দ্র সিং, রাকেশ বণিক, সুমন রায়চৌধুরীরা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন পুজোকে। পুজোর অন্যতম এক কর্মকর্তার প্রয়াণের কারণে এবছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। পুজোর শুভারম্ভ ঘটেছে মঙ্গলবার। উপস্থিত ছিলেন পুজো কমিটির চেয়ারপার্সন তথা সোমেনের স্ত্রী শিখা মিত্র, সোমেনের পুত্র রোহন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার প্রমুখ।
পুজো নিয়ে গল্প শোনাতে গিয়েই একটি ‘অশনিসঙ্কেত’ দিলেন শিখা। বললেন, নিজেদের লোকেরাই এই পুজো নিয়ে বদমায়েশি করার চেষ্টা করছে। সবকিছু আত্মসাৎ করতে চাইছে তারা। পুরো পুজোর নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে লোকগুলি। পুজোর ফান্ডের মধ্যে ঢুকতে মরিয়া তারা। কিন্তু সেটা হতে দেওয়া যায় না।
কিন্তু কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটনাচ্ছেন, কী তাদের স্বার্থ, সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি শিখা। অল্প কথায় এটুকুই বললেন তিনি, ‘নিজেদের লোক ছাড়া অন্য কেউ নয়। তাই আমিও স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছি, সোমেন মিত্রের দেখানো পথেই আমহার্স্ট স্ট্রিটের পুজো এগিয়ে যাবে। এখানে ব্যক্তি স্বার্থ নয়, মানবসেবাই হল মূল বিষয়।’