মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
আরামবাগ মহকুমাজুড়ে পিএইচই প্রকল্পে জলের পাইপ বসানোর কাজ চলছে। যেসব জায়গায় পাইপ বসানো হয়েছে, সেখানে জল সরবরাহ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও সব জায়গায় পর্যাপ্ত জল না পৌঁছনোর অভিযোগ উঠছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তর বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা চেষ্টা করছে। আরান্ডি-১ পঞ্চায়েত এলাকায় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত তিন মাস ধরে এলাকার পিএইচই জল মিলছে না। গ্ৰামের মহিলাদের দূরের গ্ৰাম থেকে চড়া রোদের মধ্যে বালতি, কলসিতে করে জল আনতে হচ্ছে। স্থানীয় পিএইচই কেন্দ্রে গেলে বলা হচ্ছে জলস্তর নেমে যাওয়ার জন্য ভূগর্ভ থেকে জল উঠছে না। জল সরবরাহ সেই কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে। আরান্ডি মহল্লা পাড়ার বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, গত তিন মাস ধরে পিএইচই’র জল পাচ্ছি না। দূর থেকে পানীয় জল আনতে হচ্ছে। যাঁদের বাড়িতে সাবমার্সিবল আছে, প্রতিদিন তাঁদের বাড়ি গিয়ে জল আনা যায় না। আবার মাঝে মাঝে সাবমার্সিবল থেকেও জল উঠছে না। জল না পেয়ে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছি। অপর এক বাসিন্দা শেখ আনসার আলি বলেন, জল না পাওয়ার কথা স্থানীয় পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। আমাদের বলা হচ্ছে দ্রুত জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। শেখ জামালউদ্দিন বলেন, গত তিনমাস ধরে এলাকায় জল সরবরাহের সমস্যা দেখা দিয়েছে। মাস তিনেক আগে জল সরবরাহ ঠিকই ছিল। হঠাৎ করে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ জানানোর পর জনস্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা এলাকায় এসেছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি।
আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান তিকদিরা খাতুন বলেন, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরকে জল না পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে বেশ কিছু জায়গায় সাবমার্সিবল বসানো হয়েছে। গ্ৰামের বাসিন্দারা সেখান থেকে জল নিচ্ছেন। মহকুমার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সৌরভ ভট্টাচার্য বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।