মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে জনসভা করেন ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর আসার আগেই মুষলধারে বৃষ্টি নামে। সেকথা উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, ‘বৃষ্টি মানে তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত হবে। বৃষ্টি হল শুভ, যা জানান দিচ্ছে বাংলাবিরোধী বিজেপির বিসর্জন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনমাস রাস্তায় আছি প্রচারে। যত দিন যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রতি মানুষের সমর্থন ও আশীর্বাদ বাড়ছে। আর এক সপ্তাহের মেয়াদ সরকারের। ১ জুনের পর থাকবে আর তিনদিন। ৪ জুন ভারতে ইন্ডিয়া জোটের সংবেদনশীল, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সরকার হবে। যে সরকার কর্মের ভিত্তিতে পরিষেবা দেবে, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসবে।’ ১০ বছরের আগে ও পরে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর কেমন দাম ছিল, এখন তা কতটা বেড়েছে, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘যে সরকার মানুষকে শোষিত, লাঞ্ছিত, নিপীড়িত করছে, বাংলা থেকে তাদের উৎখাত করতে হবে।’ সভার ভিড়কে তাঁর প্রশ্ন, ‘বিজেপি জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন?’ উপস্থিত মহিলারা সোচ্চারে জানিয়ে দিলেন, মমতা ও অভিষেক থাকতে তাঁরা এই ভয় পাচ্ছেন না। অভিষেক সুর মিলিয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীও বন্ধ করতে পারবেন না।’ দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘বিজেপি নেতারা প্রচারে গেলে ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড চাইবেন। তফসিলিদের উপর অত্যাচার বেশি উত্তরপ্রদেশে। আর বিজেপি বড় বড় কথা বলে। ওরা বলছে আবাস যোজনার টাকা পাঠিয়েছে। আড়াই মাস হয়ে গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারেননি। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ রেখে গরিবের মাথার ছাদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে।’ নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপির সর্বভারতীয় একাধিক নেতা বাংলায় প্রচারে এসে বলছেন, এ রাজ্যে ৩০-৩৫টি আসন পেলে রাজ্য সরকার পড়ে যাবে। তা নিয়ে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘লোকসভা ভোটে বিজেপি বিধানসভায় নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে ফেলার জন্য ভোট চাইছে।’
গত লোকসভায় ডায়মণ্ডহারবার কেন্দ্রের জয়ের ব্যবধান (৪ লক্ষ) এবার জয়নগর কেন্দ্রের ক্ষেত্রে আরও বেশি হলে এখানেও ‘ডায়মন্ডহারবার মডেল’ চালু হবে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘৪ জুনের পর চোখে সর্ষেফুল দেখবে বিজেপির পরিযায়ীরা। ষষ্ঠ দফায় হাঁটু, পা ভাঙবে। আর শেষ দফায় কনুই, হাত ভাঙবে। বিজেপির গ্যাস বেলুন ফুস হয়ে যাবে।’