প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সন্দেশখালিতে বিশৃঙ্খলার সময় এক মহিলাকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে ধর্ষণের ‘মিথ্যা’ নালিশ জানানোর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ছায়াসঙ্গী পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে। এনিয়ে মহিলা জনসমক্ষে মুখ খুলতেই তাঁকে বাড়িতে গিয়ে ‘হুমকি’ দিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রী, এমনই অভিযোগ তুলে মাম্পির বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে পিয়ালি দাসের বাড়িতে গিয়ে তলবের নোটিস সাঁটিয়ে দিয়ে আসে পুলিস। তিনদিনের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে সন্দেশখালি থানায় গিয়ে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তিনি থানামুখো হননি। এরপর গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন মাম্পি। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, বেছে বেছে পুলিস সন্দেশখালি আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করছে। সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, আমরা ভিডিওতে গঙ্গাধর কয়ালকে দেখেছি, কীভাবে ধর্ষণের ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করা হয়েছে তা বলেছেন। আর মাম্পির বিরুদ্ধেও বলতে শোনা গিয়েছে মহিলাদের। সত্য যে চাপা থাকে না তা আবার স্পষ্ট।
এদিকে ‘পুলিসি অত্যাচারের’ অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু হয়েছে সন্দেশখালিতে। ঝাঁটা, লাঠি হাতে নিয়ে ‘রাত পাহারা’ দেওয়ার কাজ শুরু করলেন বেড়মজুর গ্রামের মহিলারা। তাদের দাবি, গ্রামে পুলিসের অভিযান আটকাতেই এই উদ্যোগ। সন্দেশখালির মা, বোনদের উপর পুলিসের অত্যাচার দিনদিন বাড়ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে একের পর এক আন্দোলনকারীকে রাতের অন্ধকারে পুলিস তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কাউকেই রেয়াত করা হচ্ছে না। অন্যদিকে, সোমবার সন্দেশখালিতে বিজেপির পোস্টার নিয়ে ছেঁড়া নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ধৃত সুশান্ত মণ্ডল এবং জুলফিকার মোল্লাকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। -নিজস্ব চিত্র