প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
হুগলির বিদায়ী সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন মর্নিং ওয়াকের মধ্য দিয়ে প্রচার করেন। এদিন সকালে তিনি চন্দননগরে গিয়েছিলেন। পরে তিনি সেখানেই চায়ের আসরে নাগরিকদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। পরে ধনেখালিতে দলের জনসভায় অংশ নেন। আজ, মঙ্গলবার তিনি মনোনয়ন পেশ করবেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মনোনয়ন পেশের সময় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। সেই সঙ্গে সন্দেশখালি ও নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুকে উস্কে দিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ সন্দেশখালি থেকে মহিলাদের একটি দলকে লকেট তাঁর মনোনয়নে হাজির করবেন। হুগলি লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকার নানা বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে ট্যাবলো করার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া বাহিনীর। এদিন লকেট বলেন, প্রবীণ মানুষরাও আমাকে বলছেন, বাংলা থেকে অনিয়মের রাজত্বের অবসান হোক। সিপিএমের হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ এদিন চুঁচুড়ার কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করেন। পাশাপাশি লোহাপট্টি এলাকাতেও তাঁর প্রচার ছিল। দুপুরে মনোনয়ন পেশ করে বিকেলে পোলবায় রোড শো করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা। বিধায়ক অসিত মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বর্ণময় প্রচার ঘিরে এলাকায় সাড়া পড়েছিল। রচনা বলেন, পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমি প্রতিটি ঘরের মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই। তাঁদের পাশে পেতে চাই। একটাই লক্ষ্য, উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাংলার শান্তি ও সংস্কৃতির পরিবেশকে ধরে রাখা।
উত্তরপাড়া থেকে জাঙ্গিপাড়া হয়ে রাজবলহাট, সোমবার দীর্ঘ এলাকা ধরে প্রচার করেন বামেদের শ্রীরামপুরের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। মঙ্গলবার মনোনয়ন পেশের আগে শক্তি প্রদর্শনের পথও বামেরা নিয়েছিল। ফলে, নানা আকারের মিছিল পর্ব এদিন দেখা গিয়েছে। রাজবলহাটে এদিন বামেরা পথসভা করে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি দু’পক্ষকেই তেড়ে আক্রমণ করেন দীপ্সিতা। তিনি বলেন, মঙ্গলবার মনোনয়ন। শুধুই মনোনয়ন নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক লড়াইয়ের সংকল্প। আরামবাগ থেকে শ্রীরামপুর, তিন আসনেই মানুষের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে সেটিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করতে হবে। সেই শপথ নিয়েই আমরা মনোনয়ন পেশ করব। এদিন শ্রীরামপুর লোকসভার একাধিক এলাকায় পদযাত্রা ও রোড শোয়ের মাধ্যমে প্রচার করেন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।