প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
(তালাল, দিমিত্রিয়স) (ওপোকু-পেনাল্টি, আসান্তে)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শেষ বাঁশি বাজতেই কিছুটা স্বস্তি পেলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ভুটানের পারো এফসি’র বিরুদ্ধে ড্র করল ইস্ট বেঙ্গল। আইএসএল, ডুরান্ড কাপ আর এসিএল টু’র বাছাই পর্ব মিলিয়ে টানা আট ম্যাচে হেরে ভুটান যায় ইস্ট বেঙ্গল। এমন পরিস্থিতিতে হারের বদলে ড্র গলা জলে খড়কুটো আঁকড়ে ধরার শামিল।। ব্যর্থতার কালো মেঘে এই ফলই সান্ত্বনার বাতাস এনে দিল। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তালালরা কিছুটা অক্সিজেন পেলেন। মঙ্গলবার লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস।
ভুটানের চ্যাম্পিয়ন দল পারো এফসি। স্কোয়াডে একগাদা বিদেশি। খেলা দেখে মধ্যবিত্ত দলের বেশি মনে হনি। এদিন পাঁচ বিদেশিকে প্রথম এগারোয় রাখেন অস্কার ব্রুজোঁ। ৪-২-৩-১ ফর্মেশন অনেকটা পিরামিডের চূড়ার মতো। আনোয়ারকে রাইট উইং ব্যাকে খেলান স্প্যানিশ কোচ। শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কাঙ্ক্ষিত লিড পায় ইস্ট বেঙ্গল। ডানদিক থেকে কাট করে এসে নিখুঁত ব্যাক মাইনাস করেন ক্রেসপো। চলন্ত বলে দুরন্ত ফিনিশ তালালের (১-০)। তবে ভঙ্গুর রক্ষণের সৌজন্যে উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের দশ মিনিটে বিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দিলেন প্রভাত লাকরা। তাড়াহুড়োয় অহেতুক ট্যাকল করা মারাত্মক ভুল। স্পটকিক কাজে লাগিয়ে সমতা ফেরান ওপোকু (১-১)। এরপর তালাল, মহেশরা কিছুটা তাগিদ দেখালেও তাতে লক্ষ্যভেদের ঝাঁঝ ছিল না। উল্টে বিরতির ঠিক আগে গোল হজম করে ইস্ট বেঙ্গল। কর্নার থেকে প্রতিপক্ষ বক্সে বলের দখল হারান দিয়ামানতাকোস। প্রায় ২৫ গজ সোলো রানের পর গিলকে হার মানান আসান্তে (২-১)। ব্রুজোঁর দলের ফুটবলাররা গতির সঙ্গে এঁটে উঠতে ব্যর্থ।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মহেশের পরিবর্তে ক্লেটনকে নামান ব্র্রুজোঁ। উদ্দেশ্যহীন দৌড় ছাড়া ব্রাজিলিয়ানের অবদান শূন্য। এরই মধ্যে ৬২ মিনিটে ২-২ করলেন দিয়ামানতাকোস। নন্দকুমারের ঠিকানা লেখা মাইনাসে পা ছোঁয়ান তিনি। গ্রিক স্ট্রাইকার গত আইএসএলের সর্বাধিক স্কোরার। এদিন গোল পেলেও চেনা ফর্মের ধারেকাছে নেই। বরং হাত পা ছুড়ে বিরক্তি বাড়াচ্ছেন। সংযোজিত সময়ে নিশ্চিত সিটার মিস না করলে পুরো পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো মশালবাহিনী। ম্যাচের পর ব্রুজোঁর মন্তব্য, ‘জঘন্য গোল হজমের খেসারত দিতে হল।’
ইস্ট বেঙ্গল: গিল, আনোয়ার, ইউস্তে, হিজাজি, লাকরা (লালচুংনুঙ্গা), জিকসন, সাউল, নন্দ (বিষ্ণু), তালাল, মহেশ (ক্লেটন) ও দিয়ামানতাকোস।