পুনে: বডি ল্যাঙ্গুয়েজ একেবারেই শান্ত। আবেগের আতিশয্য নেই। ক্রিকেট মাঠের রঙিন চরিত্র নন মিচেল স্যান্টনার। ক্রিকেটারের বদলে প্রফেসরের ভূমিকাতেও দিব্যি মানানসই হতেন। পুনে টেস্টে কোহলিদের ধসিয়ে দেওয়ার পর ভদ্র-নম্র স্যান্টনারই চর্চার কেন্দ্রে। ছ’ফুট উচ্চতা। ফিঙ্গার স্পিনার বিগ টার্নার নন। তবে নিশানায় নির্ভুল। ১৫ বছর বয়স অবধি মিডিয়াম পেসার ছিলেন। পরবর্তীকালে বেছে নেন স্পিনকে। ডেলিভারির সময় একটু জোরের উপর বল ছাড়েন। ফ্লাইটের বদলে অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করে ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করতে চোস্ত। রোহিত-বিরাটদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলার পর তাঁর মন্তব্য, ‘দলের জয়ে অবদান রাখতে পারা  দারুণ তৃপ্তির। উইকেট পেলে সবসময় আত্মবিশ্বাস বাড়ে।’
বেঙ্গালুরু টেস্টে সুযোগ পাননি স্যান্টনার। পুনেতে তাঁর স্পিনের জালে বেসামাল টিম ইন্ডিয়া। দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচে ১৩ উইকেট স্যান্টনারের ঝুলিতে। বিশেষজ্ঞদের ক্রিকেট চর্চায় ফিরল নরেন্দ্র হিরওয়ানির স্মৃতি। ৩৬ বছর আগে ডেসমন্ড হেইন্স, স্যার ভিভ রিচার্ডস, রিচি রিচার্ডসনদের চোখে ধুতরো ফুল দেখিয়ে ১৬ উইকেট দখল করেছিলেন হিরওয়ানি। সেভাবেই পুনেতে রাজ করলেন স্যান্টনার। কিউয়ি স্পিনারকে হয়তো সেভাবে পাত্তা দেয়নি তারকায় ভরা ভারতীয় শিবির। তবে রোহিতরা বোধহয় জানতেন না যে, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ কিউয়ি শিবিরে যোগ দেওয়ার পর কতখানি বিষাক্ত হয়ে গিয়েছেন বাঁ হাতি স্পিনার স্যান্টনার। ড্যানিয়েল ভেত্তোরির পর দ্বিতীয় কিউই স্পিনার হিসেবে দুই ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পেলেন তিনি।