বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
প্রতিযোগিতাজুড়ে দাপট দেখিয়েছে ভারত। অশ্বমেধের ঘোড়ার মতোই দাপটে হারিয়েছে বিপক্ষকে। লিগ পর্বে চীনের বিরুদ্ধেও জয় এসেছিল তিন গোলে। ফাইনালেও ফেভারিট ছিল ভারত। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল। প্রথম তিন কোয়ার্টারে বিপক্ষ রক্ষণকে ভাঙতে পারা যায়নি। ৫১ মিনিটে হরমনপ্রীতের পাশ থেকে জোরালো হিটে জয়সূচক গোল করেন যুগরাজ।
হারলেও প্রশংসা কাড়ল চীন। এর আগে মাত্র একবারই কোনও আন্তর্জাতিক হকি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছিল তারা। ২০০৬ এশিয়ান গেমসের ফাইনালে অবশ্য কোরিয়ার কাছে ১-৩ গোলে হেরে যায় তারা। এদিনের লড়াইয়ে স্পষ্ট, অনেক উন্নতি করেছে চীনারা। ফাইনালে ভারতের তুলনায় অনেক বেশি সময় বলের দখলও রাখল তারা। তবে কাজের কাজ অর্থাৎ গোল করতে ব্যর্থ চীন।
ভারতীয় রক্ষণ অবশ্য দুর্ভেদ্য থাকল আগাগোড়া। গোলকিপার কৃষ্ণান পাঠক দক্ষতার শীর্ষে উঠে পতন রোধও করলেন। সুযোগ অবশ্য ভারতও পেয়েছিল। শুরুর দিকে রাজকুমার পালের শট বাঁচান চীনের গোলকিপার ওয়াং ওয়েইহাও। ১০ মিনিটে প্রথম পেনাল্টি কর্নারও আদায় করেন রাজকুমার। কিন্তু হরমনপ্রীতের শট বাইরে যায়। ২৭ মিনিটে সুখজিৎ সিংয়ের আদায় করা পেনাল্টি কর্নারে হরমনপ্রীতের হিট পোস্টে লাগে।
প্রতিযোগিতার সেরা হয়েছেন ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত। এই আসরে তাঁর গোলসংখ্যা সাত, যা দ্বিতীয় সর্বাধিক। জয়ী দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য হকি ইন্ডিয়া ৩ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কারের ঘোষণা করেছে। সাপোর্ট স্টাফরা প্রত্যেকে পাবেন নগদ ১.৫ লক্ষ টাকা করে।