নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যত কাণ্ড ময়দানে। ২৫ জুন শুরু ঘরোয়া লিগ। বিভিন্ন ক্লাবে পুরোদস্তুর চলছে ট্রায়াল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই টালিগঞ্জ অগ্রগামী আর উয়াড়ি দল গড়তে মাঠে নেমেছে। সোশাল সাইটে জানান দিয়ে বুক বাজিয়ে ট্রায়ালের কথা ঘোষণা করেন উয়াড়ির এক কর্তা। পাশাপাশি টালিগঞ্জের কোচ হিসাবে এক প্রাক্তন ফুটবলারের যোগদান নিশ্চিত। এখানেই আসল টুইস্ট। ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত ঐতিহ্যশালী এই দুই দল। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিস। কয়েকদিন আগেই আইএফএ জানায়, ক্লিনচিট না পেলে নির্বাসন উঠবে না। অর্থাৎ, বল রয়েছে পুলিসের কোর্টে। এখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনও রিপোর্ট পায়নি বঙ্গ ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। আর স্বাভাবিকভাবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তদন্ত শেষ না হওয়ার আগেই দলগঠনের প্রস্তুতি কীসের ইঙ্গিত? এই প্রসঙ্গে আইএফএ সচিবের মন্তব্য, ‘দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবেই। অন্যায়ের সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপোস করা হবে না।’
গড়াপেটা ময়দানের বহু পুরনো রোগ। মরশুম গড়ানোর সঙ্গেই সক্রিয় হয় পয়েন্ট ভাগের চক্র। গড়ের মাঠের আনাচে কানাচে দেখা মেলে আড়কাঠির। মৌচাকে ঢিল পড়ে গত মরশুমে। বিশেষজ্ঞ সংস্থার গোপন রিপোর্ট পেয়ে নড়েচড়ে বসে ফেডারেশন। আইএফএ কর্তারাও গা- ঝাড়া দেন। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভায় শাস্তি পায় ময়দানের দুই ক্লাব। জোর গুঞ্জন, গত মরশুমে ম্যাচ ফিক্সিং ডিল ফাইনাল করেন এক আধা কর্তা। উয়াড়ি বিপদে পড়তেই তিনি ক্লাব ছাড়েন। শুধু তাই নয়, প্রিমিয়ারে উঠে আসা অন্য একটি ক্লাবের অন্দরমহলে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, নতুন মরশুমেও গড়াপেটার মঞ্চ তৈরি! শুধু বল গড়ানোর অপেক্ষা।