প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ইন্দপুরের অনিমা পাত্র বলেন, এদিন ছেলেকে নিয়ে আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এসেছিলাম। অসুস্থ ছেলেকে কোলে নিয়ে টিকিট কাটার লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা হচ্ছিল। ফলে মোবাইলে ‘কিআর কোড’ ব্যবহার করে টিকিট কাটতে চেয়েছিলাম। এর আগেও ওই পরিষেবার সুফল পেয়েছি। কিন্তু, এদিন তা বন্ধ ছিল। কর্মীর অভাবে এভাবে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা বন্ধ থাকার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। কেউ ছুটি নিলে তাঁর জায়গায় বিকল্প কাউকে বহাল রেখে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা সচল রাখা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আউটডোরের এক কর্মী বলেন, আমরা চুক্তিভিত্তিতে কাউন্টারে কাজ করি। স্বল্প বেতনে একজনকে দিয়ে নানা কাজ করিয়ে নেওয়া হয়। ছুটি সেভাবে পাওয়া যায় না। উৎসবের মাঝেও আমাদের টানা ডিউটি করতে হয়। একজন কোনও প্রয়োজনে ছুটি নিলে অন্যের উপর সব চাপ এসে পড়ে। ফলে ওইসময় সব পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। সেই কারণে এদিন ‘কিউআর কোডে’র মাধ্যমে টিকিট কাটার সুবিধা বন্ধ রাখা হয়।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, কর্মীর সংখ্যা কম থাকায় এদিন সমস্যা হয়েছিল। ‘কিউআর কোড’ পরিষেবা সচল থাকলে ভালো হতো। তবে সাবেক পদ্ধতিতে লাইন দিয়ে টিকিট কেটে রোগীরা এদিন আউটডোরে চিকিৎসা করাতে পেরেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে সারা বছরই রোগীর চাপ বেশি থাকে। আর জি কর কাণ্ডের জেরে মাঝে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। ফলে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সোমবার প্রায় পাঁচ হাজার রোগী আউটডোরের বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা করিয়েছেন বলে কর্মীরা জানিয়েছেন। রোগীদের হয়রানি কমাতে বছর দুয়েক আগে আউটডোরে ‘কিউআর কোড’ ব্যবহার করে টিকিট কাটার পরিষেবা চালু হয়। টিকিট কাউন্টারের সামনে ওই বিশেষ ‘কোড’ সম্বলিত কাগজ সাঁটানো আছে। মোবাইলে তা ‘স্ক্যান’ করে রোগীরা টিকিট কাটতে পারেন। কাউন্টারের এক কর্মী সংশ্লিষ্ট রোগীকে টিকিটের ‘প্রিন্ট আউট’ দিয়ে দেন। মোট রোগীর শতকরা ১০ শতাংশ প্রতিদিন ওই পদ্ধতিতে টিকিট কাটেন বলে কর্মীরা জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছুটিতে থাকায় এদিন ওই পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়।