প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পাটরাপাড়ায় রক্ষিত পরিবারে পাশাপাশি মণ্ডপে দু’টি শিবদুর্গা পুজো হয়। এখানে প্রায় ২০০বছর আগে কালীপুজোর দিন শিবদুর্গা পুজোর প্রচলন হয়। পরিবার বিভক্ত হওয়ায় এখন দু’টি মণ্ডপে পুজো হয়। শহরের মলডাঙায় আরও একটি শিবদুর্গার পুজো হয়। মহাদেব ও দেবী দুর্গা সপরিবারে এখানে বিরাজ করেন। পুজোয় চণ্ডীপাঠ থেকে শুরু করে হোম, যজ্ঞ, সন্ধিপুজো সহ যাবতীয় আচার পালন করা হয়। ভাইফোঁটার পর বিসর্জন হয়। পাটরাপাড়া পূর্বমুখী শিবদুর্গা পুজো পরিচালন কমিটির সদস্যরা বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের রেশম গুটির ব্যবসা ছিল। ব্যবসার সূত্রে কোনও এক পূর্বপুরুষ পুরুলিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ সেরে ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের তলায় ঘুমিয়ে পড়েন। তখন স্বপ্নাদেশ পান, সবাই যখন কালীপুজো করবে, সেসময় দেবী দুর্গার পুজো করতে হবে। তাহলে সংসারে মঙ্গল হবে। বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁদের তাঁতশালে দেবীপ্রতিমা রয়েছে। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা প্রতি বছর কালীপুজোর রাতে অমাবস্যা তিথিতে শিবদুর্গা পুজো করেন। প্রায় ছয় পুরুষ ধরে বাড়িতে এভাবেই পুজো হয়ে আসছে। ঘট বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা কেউ বিষ্ণুপুর ছেড়ে যান না। এসময় বাড়িতে আত্মীয়দের নিমন্ত্রণও করা হয়।
দক্ষিণমুখী পুজো কমিটির সদস্যরা বলেন, প্রাচীন স্থায়ী মন্দিরে পুজো হয়। তবে প্রতি বছর নতুন প্রতিমা তৈরি করা হয়। শিব ও দুর্গার পাশাপাশি লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের প্রতিমা একচালায় তৈরি করা হয়। বৈষ্ণব মতে পুজোয় ছাঁচি কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। পুজোর আগের দিন থেকে পরিবারের সবাই নিরামিষ ভোজন করেন। সকাল ও সন্ধ্যায় আরতি হয়। মলডাঙা শিবদুর্গা পুজো কমিটির সদস্যরা জানালেন, মলডাঙার বাসিন্দারা একসময় শহরের পাটরাঙা লেনে বসবাস করতেন। সেখানে শারদীয়ার সময় শিবদুর্গার পুজো হয়। পরে সেখান থেকে শতাধিক পরিবার মলডাঙায় চলে আসেন। তাঁরা নতুন পাড়ায় কালীপুজোর সময় শিবদুর্গার আরাধনার প্রচলন করেন। প্রায় ১০০বছর ধরে এখানে পুজো হয়ে আসছে। পাড়ার বেশিরভাগ পরিবার এই পুজোয় অংশ নেয়।