প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, সোনামুখীতে কালীপুজোয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে তিনটি মন্দিরে ২৪ঘণ্টা সশস্ত্র পুলিস থাকত। এবারে আরও একটি মন্দিরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুজো কমিটির সদস্যদেরও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, এখানকার বিভিন্ন কালীমন্দিরের কয়েক কোটি টাকার সোনার অলঙ্কার রয়েছে। সারা বছর ওই গয়না ব্যাঙ্কের লকারে থাকলেও পুজোর সময় তা বের করে দেবীপ্রতিমাকে সাজানো হয়। তাই এবার সমন্বয় কমিটির বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। সিংহভাগ পুজো কমিটিকে নিজ নিজ মন্দিরে সিসি ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছে। পুরসভা ও পুলিস শহরের বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে।
কালী ও কার্তিকের শহর বলে পরিচিত সোনামুখী। শহরে ২০০র বেশি কালীপুজো হয়। বড় কালী, মাইতো কালী, সার্ভিস কালী, পায়রা কালী, ঘুঘু কালী, কৃষ্ণ কালী, সত্য কালী, দক্ষিণা কালী, চামুণ্ডা কালী, তেমাথা কালী, মঙ্গলা কালী সহ বিভিন্ন নামে দেবী পূজিতা হন। বেশিরভাগ পুজোর সঙ্গেই ইতিহাস জড়িত আছে।
দু’বছর আগে কালীপুজোর সময় তিনটি মন্দিরে চুরি হয়। বিগ্রহ থেকে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না খুলে নিয়েছিল চোরেরা। তাই এবার নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে পুলিস। পুজো কমিটির আবেদনের ভিত্তিতে চারটি মন্দিরে ২৪ঘণ্টা সশস্ত্র পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। অন্য মন্দিরেও পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। সোনামুখীর টাউনবাবুর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গড়া হয়েছে। এই টিম পাঁচদিন ধরে বিশেষ নজরদারি চালাবে। সোনামুখীতে কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় হয়। ওইদিন জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে কয়েকশো পুলিস এশহরে মোতায়েন করা হবে।
মাইতো কালীপুজো কমিটির সভাপতি তথা সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিরাপত্তার জন্য কয়েক বছর আগেই আমরা পুলিসের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। সেইমতো মন্দিরে ২৪ঘণ্টা সশস্ত্র পুলিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।