প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিনের যোগদান মেলায় কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া মৈত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়, মুর্শিদাবাদ লোকসভার সাংসদ আবু তাহের খান প্রমুখ।
মহুয়া বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন সমাজের প্রতিটাস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সেই উন্নয়নের শামিল হতেই নতিডাঙা-২ পঞ্চায়েতের সকল সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে মানুষের পাশে থেকে তাদের মধ্যে মিশে গিয়ে কাজ করতে হবে। আরও বেশি করে বুথস্তরের প্রতিটা মানুষের ঘরে পৌঁছে যেতে হবে দলের সকল কর্মীকে।’
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে করিমপুর-২ ব্লকের নতিডাঙা-২ পঞ্চায়েতে তৃণমূল সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল। পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল আটটি আসনে জয় পায়। এছাড়া কংগ্রেস পাঁচটি, নির্দল তিনটি ও সিপিএম একটি আসনে জয়ী হয়। তারপর বাম-কংগ্রেস ও নির্দল রামধনু জোট করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল বিরোধী শিবিরে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ লোকসভার অন্তর্গত নতিডাঙা-২ পঞ্চায়েতে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল প্রায় ৩০০ ভোটে। সেই পঞ্চায়েত থেকে লিড পায় সিপিএম। তার উপর স্থানীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দলের ক্ষতি করছিল। তাই ছাব্বিশে বিধানসভার আগে নতিডাঙা-২ পঞ্চায়েতে হারানো জমি ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে শাসক দল। সেইমতো বিরোধী শিবিরে বড় ভাঙন ধরিয়ে গোটা পঞ্চায়েতকেই তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দখলে নিল।
তৃণমূলে যোগদানকারী পঞ্চায়েতের নির্দল প্রধান মেরিনা বিশ্বাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল হতেই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছি। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হিসেবেই মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে চাই।’
করিমপুর-২ ব্লকের তেহট্ট বিধানসভার ব্লক সভাপতি কার্তিক মণ্ডল বলেন, বিগত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন এলাকার অনেকে বিরোধী শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন।
সিপিএমের করিমপুর-২ এরিয়া কমিটির সদস্য মিমি সরকার বলেন, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ওই পঞ্চায়েতের আমাদের একমাত্র সদস্য বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। পিঠ বাঁচাতে দলবদল ছাড়া তার আর কোনও উপায় ছিল না। যাঁরা তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছিলেন, তাঁরা কেউ যাননি। শুধুমাত্র ওই সদস্য আমাদের দল ছেড়েছেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।
করিমপুর-২ ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সিংহরায় বলেন, আমাদের পাঁচজন সদস্য দল করে নিজেদের জন্য কিছু করতে পারছিলেন না। তাই কিছু করে খাওয়ার জন্যই নীতি বিসর্জন দিয়ে শাসক দলে যোগ দিয়েছেন।