প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সূতি থানার কাশিমনগর ও পিলকি এলাকার আমবাগানে দীর্ঘদিন ধরে বড়সড় জুয়ার আসর চলে। সেখানে রোজ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি জুয়া খেলায় অংশ নেয়। স্থানীয় কয়েকজন সমাজবিরোধীর মদতে এই জুয়ার আসর চলে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সেই জুয়ায় স্থানীয় প্রায় জনা বিশেক যুবক টাকা খাটায়। স্থানীয় যুবক কাবিরুল শেখ সেই জুয়াতে টাকা খাটাত। তার সঙ্গে দিন কয়েক আগে টাকার ভাগ নিয়ে অপর এক যুবকের গণ্ডগোল বাধে। গণ্ডগোল হাতাহাতির পযার্য়ের চলে যায়। গত মঙ্গলবার রাতে এক চায়ের দোকানে ফের বচসা শুরু হলে ধৃত কাশেম শেখের ভাইকে বেধড়ক মারধর করে কাবিরুল শেখ বলে অভিযোগ। বিষয়টি দাদার কানে পৌঁছলে ভাইয়ের বদলা নিতেই তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মালিক কাবিরুলের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল কাশেম। বুধবার সকালে কবিরুল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ওই ব্যবসায়ী ইয়াদ শেখের দোকানে আসে।
খবর পেয়ে বাইক নিয়ে হার্ডওয়্যারের দোকানের সামনে হাজির হয় কাশেম। বাইক দাঁড় করিয়ে কোমর থেকে পিস্তল বার করে কাবিরুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীর বুকে গিয়ে লাগে। গুলি চালিয়েই সেখান থেকে বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। বাইক স্টার্ট না-হওয়ায় দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় কাশেম। পরে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে।
কাবিরুল সূতিতে চার চাকা গাড়ির পার্টসের দোকান চালায়। পাশাপাশি জুয়ায় টাকা খাটায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে। অপরদিকে, ধৃত কাশেম স্থানীয় এক মস্তানের ছত্রছায়ায় থাকে। মূলত সেই মস্তানদের মদতেই জুয়ার আসর চলে। তাদের দু’জনের মধ্যে টাকার ভাগ নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।