বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম শেখ আবদুল হক (৬২) ওরফে পটাই। তাঁর বাড়ি কাটোয়া-বর্ধমান রোডের পাশে ডাকবাংলো বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায়। পুলিস দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার শ্রীপাট শ্রীখণ্ড গ্রামের রেললাইন লাগোয়া কুদ্দুস শেখ ওরফে খুদুর বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীর দেহটি উদ্ধার হয়। কুদ্দুসের অ্যাসবেসটসের বাড়ি। সেই বাড়ির সামনে একটি চৌকিতে দেহটি পড়েছিল। সকাল থেকেই অবশ্য কুদ্দুস, তার স্ত্রী পুতুল বিবি ও দুই ছেলে বাড়িতে ছিল না। মৃতের ভাই আবদুল রব বলেন, ‘দাদাকে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতে তাঁর মোবাইলে বেশ কয়েক বার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু ওর ফোন বন্ধ ছিল। আমাদের সন্দেহ, যার বাড়ি থেকে দেহটি উদ্ধার হয়, তারাই আমার দাদাকে খুন করেছে।’
কুদ্দুসের আসল বাড়ি কাটোয়া থানার সুদপুর অঞ্চলের ঔরঙ্গাবাদ গ্রামে। দশ বছর আগে পুতুল বিবিকে বিয়ে করে শ্রীপাট শ্রীখণ্ড গ্রামে বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। পুতুল বিবির এটি দ্বিতীয়বার বিয়ে। একটি লেটোর দলে নাচগান করত পুতুল। এদিকে, মৃত ব্যবসায়ী শেখ আবদুল হক মঙ্গলকোটের লক্ষ্মীপুর গ্রামের দক্ষিনপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনিও তিরিশ বছর আগে ডাকবাংলো এলাকায় দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী নাসিরা বিবি সকালে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনেই শোকাহত হয়ে পড়েন। দুই ছেলে শেখ আলমগীর হোসেন, শেখ ইমরান হোসেন ভিন রাজ্যে থাকেন। মেয়ে নুরসামানা বেগমের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
এদিন প্রতিবেশীদের একাংশ জানান, কুদ্দুস একটা সময় ওই ব্যবসায়ীর কাছেই কাজ করত। সেই সুবাদে বাড়িতে আনাগোনা ছিল। অনেকেই সন্দেহ করছেন, পুতুল বিবির সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তিনি প্রায়ই কুদ্দুসের বাড়িতে যেতেন। তবে, তিনি তাঁর বাইকটি কিছুটা দূরে রেখে হাঁটতে হাঁটতে আসতেন। কুদ্দুস শেখের প্রতিবেশী মিরু হেমব্রম বলেন, ‘ওই ব্যবসায়ী প্রায়ই পুতুল বিবির বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এটা আমরা পাড়ার লোকেরা দেখেছি। তবে, ঠিক কি ঘটেছিল, তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিস নিশ্চয় তদন্ত করে প্রকৃত সত্য সামনে আনবে।’ এদিন ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া নুরন্নেসা বিবি বলেন, ‘রাতে তিনি বাড়িতে আসেননি। আমরা তাঁর ফোনে একাধিকবার ফোন করেছিলাম। কিন্তু, কিছুতেই তাঁকে আমরা পাচ্ছিলাম না।! এদিন, কাটোয়া থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় অকুস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তবে ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’