বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
যদিও রাত থেকেই কাজ চালিয়ে রবিবার দুপুরে সমস্যার সমাধান করে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ফলে এদিন দুপুর থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। এতে শহরবাসীর স্বস্তি ফেরে। তবে রবিবার রাতে ফের শহরের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ওই রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হয়েছে-তা বোলপুর পুরসভা আমাদের জানায়নি। জানালে আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতাম। তাহলে এলাকার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হত না। পরবর্তীকালে যাতে এধরনের সমস্যা না হয়, সেজন্য পুরসভাকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলব।
বোলপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মকরমপুরে রাস্তা চওড়া ও নালা সংস্কারের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছে পুরসভা। সেজন্য শনিবার সকাল থেকেই ওই এলাকায় আর্থমুভারের সাহায্যে মাটি খোঁড়া চলছিল। ওই রাস্তার পাশেই রয়েছে লালপুল ইলেকট্রিক সাব স্টেশন। খোঁড়াখুঁড়ির সময় অসাবধানতার জেরে মেন লাইন গ্রিডের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ তার ছিঁড়ে যায়। এর জেরেই শহরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়। দিনেরবেলা তেমন সমস্যা না হলেও রাতে প্রচণ্ড গরমে সাধারণ মানুষকে হাঁসফাঁস করতে হয়।
এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরে অসহ্য গরমে বোলপুরবাসী নাজেহাল। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, বর্ষা ও শরতের মাঝামাঝি সময়ে জলীয় বাষ্পের কারণে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। সেজন্য ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির মতো অনুভূত হচ্ছে। তার উপর বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ খুব সমস্যায় পড়েন।
পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য শহরবাসীর কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। মকরমপুর এলাকার রাস্তা চওড়া করতে গিয়ে ওই বিপত্তি হয়েছে। তবে তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাই।