বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সম্প্রতি দ্বারকা নদ ও ব্রাহ্মণী নদীর জলে ওই দু’টি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। প্রচুর আমন ধান ও তুঁত গাছ নষ্ট হয়েছে। এমনকী, গ্রামের একাংশে বন্যার জল ঢুকে পড়ে। যদিও শনিবার সকাল থেকেই বন্যার জল নীচে নামতে থাকে। আর তারপরই বিভিন্ন গ্রামে অনেকের মধ্যে জ্বর, সর্দিকাশি ও ডায়ারিয়া দেখা দিয়েছে।
ঝিল্লি পঞ্চায়েতের মণ্ডলপুর গ্রামের বাসিন্দা রামেশ্বর মণ্ডল বলেন, শুক্রবার রাত থেকেই গ্রামের কয়েকটা বাচ্চার জ্বর আসছিল। এখন বড়দেরও জ্বর আসতে শুরু করেছে। সঙ্গে সর্দিকাশিও হচ্ছে। কেলাই গ্রামের বাসিন্দা আতাহার শেখ বলেন, গ্রামে বন্যার জল ঢুকে পড়েছিল। অনেকের বাড়িতে জল ঢুকে পড়ে। সেই জলের উপর দিয়েই হাঁটাহাঁটি করতে হয়েছে। জ্বর, সর্দিকাশির রোগীর সংখ্যা এখন অনেক। শনিবার সকাল থেকে গ্রামের কয়েকজনের ডায়ারিয়ার লক্ষণও দেখা দিয়েছে।
ঝিল্লি পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তথা খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কামরেজ্জামান সরকার বলেন, বন্যার জল নেমে যাওয়ার পর যে সমস্ত রোগ দেখা দেয়, সেগুলি এখানে দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্যদপ্তরে জানিয়েছি। তারা বিভিন্ন গ্রামে শিবির করছে।
পদমকান্দি পঞ্চায়েতের কাদিপুরেও ওই সমস্ত রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাজ মহম্মদ বলেন, দু’দিন ধরে অনেকের মধ্যে জ্বর ও সর্দিকাশি দেখা দিয়েছে। অনেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন। তবে গ্রামেও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে শিবির করা হয়েছে।
ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার ওই এলাকার সর্বমঙ্গলাপুর, কাদিপুর, ঝাঁঝড়া, সিয়াটা, বাজিতপুর গ্রামে শিবির করা হয়েছে। রবিবার সেখানকার বাকি গ্রামেও স্বাস্থ্যশিবির হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করছেন। খড়গ্রামের বিএমওএইচ রিন্টু গাজি বলেন, এলাকার কয়েকটি গ্রামে রোগ দেখা দিয়েছে। তবে খুব একটা চিন্তার কারণ নেই। স্বাস্থ্যকর্মীরা বিভিন্ন গ্রামে শিবির করে চিকিৎসা শুরু করেছেন।