হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বালিচকে উড়ালপুলের দাবি আজকের নয়, দীর্ঘ কয়েক দশকের। ডেবরা-সবং রাস্তার উপরেই রয়েছে বালিচক রেলগেট। রেলগেটের যানজটে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হতো নিত্যযাত্রীদের। সেই সমস্যা মেটাতে ২০১১ সালে রেল ও রাজ্য যৌথ উদ্যোগে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বালিচকে উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ২০১২ সালে তত্কালীন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় উড়ালপুলের কাজের অনুমোদন দিয়ে দেন। ওই বছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বালিচক উড়ালপুলের শিলান্যাস হয়। যদিও তারপর থেকেই বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। থমকে যায় নির্মাণকাজ। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ২০১৮-১৯ সাল নাগাদ নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের শুরু দিকেই কাজ শেষ করার কথা ছিল সংস্থার। যদিও কিছুটা কাজ এগিয়ে ফের থমকে যায়। এভাবেই চলতে থাকে। তারপর মাঝে চলে আসে করোনা। ফের বছরখানেক কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। পরে কাজ শুরু হলেও রেললাইনের ওভারহেড তার, রেললাইনের নীচে থাকা অজস্র তার ও রেলগেট সরানো না হওয়ায় ফের কাজ থমকে যায়। রেলের বিরুদ্ধে সমন্বয়ের অভিযোগ তোলে রাজ্য। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে রেল-রাজ্য যৌথ বৈঠকের পর ফের কাজ শুরু হয়। রেলগেট সরিয়ে রেললাইনের উপরের অংশের উড়ালপুল গড়ার কাজ শুরু হয়। এরজন্য রেলগেট দিয়ে বাস, বড় গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের নীচের দু’দিক দিয়ে দু’টি সার্ভিস রোড চালু করা হয়। যদিও সার্ভিস রোডের দু’দিকের অবস্থা বেহাল। ধুলোয় ঢাকছে দোকানপাট থেকে ঘরবাড়ি।