হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে খবর, এর আগে বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ছিলেন তাপস মিশ্র। তিনি শালবনী বিধানসভার চন্দ্রকোণা রোডের বাসিন্দা ছিলেন। যা ঝাড়গ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত। গত বছরের শেষের দিকে সাংগঠনিক জেলা ভেঙে লোকসভাওয়ারি জেলা ভাগ করে বিজেপি। সেই অনুযায়ী তাপস মিশ্র যেহেতু ঝাড়গ্রাম লোকসভার বাসিন্দা, তাই তাঁকে মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি হিসাবে মেনে নিতে তীব্র আপত্তি জানান দলের নেতাকর্মীরা। দলের অন্দরে শুরু হয় বিদ্রোহ। মেদিনীপুরের কাউকে জেলা সভাপতি করার দাবি উঠতে থাকে। বিদ্রোহ চাপা দিতে তাপসবাবুকে সরিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা সুদাম পণ্ডিতকে জেলা সভাপতি করা হয়। তবে তাতে ক্ষোভ আরও বাড়ে।
তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার কাছে বিজেপি প্রার্থীর প্রায় ২৭ হাজার ভোটে হারের পর থেকেই সেই ক্ষোভের আগুনে ফের ঘি পড়েছে। এই হারের দায় জেলা সভাপতির উপরেও চাপাচ্ছেন কর্মীদের একাংশ। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও। বিজেপি কর্মীদের অনেকেরই দাবি, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কদাচিৎ পার্টি অফিসে দেখা গিয়েছে জেলা সভাপতিকে। দলের সবাইকে নিয়ে চলার বদলে নিজের ঘনিষ্ট কয়েকজনকেই নাকি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। বিজেপির কর্মীদের একাংশের দাবি, শুরু থেকেই গা ছাড়া মনোভাব ছিল জেলা সভাপতির। দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী না করায়, তা আরও প্রকট হয়। বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, সুদামবাবু দিলীপ ঘোষের ‘অনুগামী’। অগ্নিমিত্রা বিরোধী দলনেতার অনুগামী বলে পরিচিত। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক ‘শীতল’। ফলে অগ্নিমিত্রা প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি আরও জটিল হতে থাকে।
অগ্নিমিত্রা অনুগামীদের দাবি, জেলা সভাপতি হিসেবে কোনও দায়িত্বই পালন করেননি সুদামবাবু। ভোটের আগেও নয়, পরেও নয়। অভিযোগ, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে যে সমস্ত বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া, শুধুমাত্র তাঁদের পাশে দাঁড়াতে অগ্নিমিত্রা আসানসোল না ফিরে মেদিনীপুরে রয়ে গেলেও দেখা নেই সুদামবাবুর। গত শুক্রবারও নারায়ণগড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সুদামবাবুর বিরুদ্ধে অগ্নিমিত্রার কাছে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন কর্মীরা। জেলা সভাপতি পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয় বলে খবর।
এনিয়ে অগ্নিমিত্রার তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য, এসব নিয়ে আমার কাছেও অভিযোগ এসে পৌঁছেছে। সাংগঠনিক দিক থেকে যে পরিবর্তন, সেই ব্যাপারে আমি আমার মতো রিপোর্ট পাঠাব। পর্যালোচনা হবে। তবে পরিবর্তনের ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত তা, শীর্ষ নেতৃত্বই নেবে। তাঁর সংযোজন, কর্মীদের পাশে কে থাকল আমি জানি না, তবে আমি রয়েছি। আমি থাকব। যাঁকে নিয়ে এত অভিযোগ সেই সুদামবাবুর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্ট করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।