হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
এবার বীরভূম জেলায় বীরভূম ও বোলপুর দুই আসনেই বিজেপির অত্যন্ত খারাপ ফল হয়েছে। গতবারের তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের মার্জিন এবার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এতটা খারাপ ফলাফল কেন হল তা নিয়ে দলের জেলার নেতৃত্ব উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না। জেলাস্তরের কয়েকজন নেতা তো পুরো দোষ ঠেলছেন সংগঠনের মণ্ডল সভাপতিদের দিকে। তাঁদের দাবি, ভোটের আগে মণ্ডল সভাপতিরা নিজেদের মতো করে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কেউ বলেছিলেন, গতবারের তৃণমূলের ভোটের মার্জিন অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হবে। কেউ আবার বলেছিলেন, তাঁদের একটা মণ্ডল থেকেই প্রায় ১০ হাজার লিড হবে। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব তাঁদের সেই কথায় বিশ্বাস করেন। সেই অনুযায়ী ভোটের খরচ থেকে শুরু করে প্রচার কর্মসূচি করেন। যেমন, বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত ময়ূরেশ্বর বিধানসভাতেও এবার বিজেপির ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। গত পঞ্চায়েত ও লোকসভাতে এখানে তাদের জেলার তুলনায় ভালো ফলাফল হয়েছিল। এবারও স্থানীয় নেতৃত্বও আশ্বাস দিয়েছিলে, ময়ূরেশ্বর বিজেপির দখলে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। একইভাবে বীরভূম লোকসভার অন্তর্গত দুবরাজপুরেও মণ্ডল সভাপতিরা জেতার ব্যাপারে ১০০ শতাংশের বেশি আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি যে ফললো না তাই নয়, ধারেকাছেও পৌছল না। দলের কয়েকজন ঠোঁটকাটা নেতা এইসব সাংগঠনিক পদাধিকারীদের ‘ভুয়ো মণ্ডল সভাপতি’ বলছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক শীর্ষ নেতৃত্ব বলেন, ভোটের আগে পার্টি অফিসে এসে কেউ কেউ বলে গিয়েছিলেন, দাদা এত হাজার ভোটে লিড দেব। খরচ করার জন্য টাকা লাগবে। প্রার্থীকে ভালোভাবে এলাকায় ঘোরাব। সেই সব হিসেব ধরে আমরা পরিকল্পনাও করেছিলাম। কিন্তু সব তথ্য ভুল ছিল। রাজ্য নেতৃত্ব যখন আলোচনায় বসবে তখন কোপ এঁদের উপর পড়বে।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের আগে যে কয়েকজন মণ্ডল সভাপতিকে বদল করে দেওয়া হয়েছিল সেই সব এলাকাতেও বিজেপি ভালো ফল করতে পারেনি। ভোটের ফলাফলের পর বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যকে এখনও মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেলেও বোলপুরের প্রার্থী পিয়া সাহাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। আউশগ্রাম, মঙ্গলকোটের দিকে কর্মীরা হুমকির মুখে পড়লে প্রার্থী নিজে না গিয়ে দলের নেতাদের এগিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। আর বোলপুরের বিজেপি নেতারা তো আবার নির্বাচনের পর থেকে কার্যত উধাও। এত ভোটে হার কেন হল, উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই। তাঁরা দায় ঠিলছেন মণ্ডল সভাপতিদের দিকেই।