হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
প্রায় এক দশক পর নিজের দলের প্রার্থী ভোটে জিতেছেন। বিজেপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে পরাজিত করে জয় এনেছেন বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র অরূপ চক্রবর্তী। এবার দিল্লি গিয়ে সংসদ ভবনে শপথ নেওয়ার পালা। সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতেই বাঁকুড়ার নেতাকর্মীদের দিল্লী যাত্রা।
রাজ্যে পালা বদলের পর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন অভিনেত্রী মুনমুন সেন। কিন্তু ২০১৯-এর নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা দখল করে বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও জোড়াফুল শিবিরের জমি হারানোর পালা চলতে থাকে। জঙ্গলমহলের তিনটি আসন বাদে বাকি চার বিধানসভাতেই পদ্ম শিবির জয় পায়। ফলে দলের কর্মীরা হতাশ ছিলেন। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই হতাশা কাটিয়ে চাঙ্গা করে দিয়েছে দলের নেতাকর্মীদের। ভোট গণনার দিনই সেই উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল। সেদিন সবুজ আবিরে ছেয়ে যায় বাঁকুড়া বিশ্ব বিদ্যালয়ে গণনা কেন্দ্রের বাইরের চত্বর। ইতিমধ্যে জয়ের শংসাপত্র নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন অরূপবাবু। দিল্লি থেকে ফিরে দলীয় কর্মী ও ভোটারদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর্মসূচিও শুরু করেছেন। একাধিক বিধানসভা এলাকায় গিয়ে কার্যত রোড শো করে তিনি ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। এবার তিনি দিল্লিতে সাংসদ হিসেবে শপথ নেবেন। তাই তাঁর সঙ্গী হতে চেয়ে আবদার জুড়েছেন বিভিন্ন স্তরের কর্মী ও নেতারা। একাধিক ব্লক সভাপতিও যাচ্ছেন দিল্লি। তারসঙ্গে বিভিন্ন জন প্রতিনিধিরাও যাচ্ছেন রাজধানীতে। এই প্রসঙ্গে অরূপবাবু বলেন, আগামী ২৪ ও ২৫ জুন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে। নেতাকর্মীরা সেই শপথ গ্রহণে যেতে চাইছেন। সেইজন্য যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁরা রাজধানী ও সংসদ ভবনে ঘুরবেন। প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আকাশপথেই নিয়ে যাওয়া হবে।
বাঁকুড়া ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বিধান সিংহ বলেন, অরূপদার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হয়তো সবাইকে ঢুকতে দেবে না। কিন্তু তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সাংসদের সঙ্গে সংসদ ভবন ঘুরে দেখব। বাঁকুড়া ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা দলের এমপি পেয়েছি। তাই তাঁর শপথ গ্রহণের সঙ্গী হওয়াই আমাদের লক্ষ্য। সেইজন্য ব্লক থেকে আমি ও একজন প্রতিনিধি যাব।