হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
হোগলবেড়িয়ার বাসিন্দা কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, সারাদিনে বেশ কয়েকবার লোডশেডিং হচ্ছে। তবে লোডশেডিংয়ের থেকে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা হতেই ভোল্টেজ কমে যাচ্ছে। ফ্যান ঘুরছে না, আলো জ্বলছে টিমটিম করে। গ্রামের মানুষ দিনের বেলায় বাধ্য হয়ে বাড়ির পাশের কোনও গাছের নীচে আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু রাতে গরমের কারণে ঘরে ঘুমাতে পারছেন না। ফলে দিনভর অসহ্য গরমের পরে রাতটুকুও না ঘুমিয়ে কাটছে অনেকের। শিকারপুরের এক বৃদ্ধ সুখেন সরকার বলেন, সারা দিন গরমে কাজ করে সকলেই ক্লান্ত থাকেন। তারপর সন্ধ্যা থেকে যদি ঘরে পাখা না ঘোরে, তাহলে খুব কষ্ট হয়। রাতেও বিদ্যুতের বিভ্রাটে ঘুমটাও ঠিকমতো হয় না। অসহ্য গরমে অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ফলে আমার মতো বয়স্কদের কেউ কেউ অসুস্থ বোধ করেছেন। কেচুয়াডাঙার জয়ন্ত ঘোষের অভিযোগ, প্রচণ্ড গরমের জন্য এখন প্রচুর মানুষ ঘরে নতুন করে এসি লাগিয়েছেন। যে কারণে ট্রান্সফরমারে বিদ্যুতের চাপ বেড়েছে। সেই বাড়তি চাপের কারণে লো-ভোল্টেজ হচ্ছে। বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের কারণে বাড়িতে যেমন ফ্যান ঘোরে না, পাশাপাশি জলের পাম্প, এসি সবই বন্ধ থাকায় আরও বেশি অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। করিমপুরের মহামায়াপল্লির এক বাসিন্দা বলেন, এমনিতেই দিনরাতে বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। তার উপরে একদিন সারারাত বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকেরই ধৈর্য হারায়। পরের দিন এলাকার মহিলারা স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে বিক্ষোভ দেখান। আধিকারিক ১৫ দিনের মধ্যে ওই এলাকায় একটি নতুন ট্র্যান্সফরমার বসানোর প্রতিশ্রুতি দেন। অভিযোগ, তারপরে নয় দিন কেটে গিয়েছে অথচ সেই কাজ হয়নি। আর এক বাসিন্দা তপন মণ্ডল বলেন, বাড়িতে অসুস্থ মানুষ রয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে কিংবা বারবার বিদ্যুৎ না থাকলে উনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। খুবই অসহায় লাগে।
এলাকার বেশিরভাগ মানুষের অভিযোগ, অনুমোদনহীন এসির অতিরিক্ত লোডের কারণে ভোল্টেজের সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও যারা এসির অনুমোদনের জন্য সরকারি নির্দিষ্ট টাকা জমা দিচ্ছেন, অথচ সেই বিদ্যুৎ দপ্তর সেই লোড নেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করছে না। বিদ্যুৎ কর্মীদের জন্য এলাকায় একটিমাত্র মোবাইল ভ্যানের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই কারণে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হলেও তা সারতে অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার উচিত কর্মীদের গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়ানো। এব্যাপারে করিমপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিককে ফোন করলেও তিনি আজ ছুটি বলে কোনও কথা বলতে চাননি।