হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুইবছর আগে রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে সালারের একটি লেবেল ক্রসিং বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পরিবর্তে ওই দুই লেবেল ক্রসিংয়ের মধ্যবর্তি কয়েকশো মিটার এলাকায় ওই রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। যাতে করে বীরভূম, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ রুটের যানবাহনগুলি ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে। যদিও আন্দোলনের জেরে রেল কর্তৃপক্ষ একটিও লেভেল ক্রসিং বন্ধ করতে পারেনি। তবুও রেলের তৈরি রাস্তা দিয়েই কান্দি কাটোয়া রুটের সমস্ত যানবাহন সালারের ওই অংশে চলাচল করে থাকে। লেবেল ক্রসিং দীর্ঘক্ষন বন্ধ থাকলেও যান চলাচলে এর কোন প্রভাব পড়েনি।
কিন্তু বর্তমানে রাস্তার অবস্থা অতি ভয়ানক। গোটা রাস্তা এবড়োখেবড়ো হয়ে রয়েছে। রাস্তার অর্ধেক অংশে মাটি বেরিয়ে পড়েছে। কোথাও বড় গর্ত তো কথাও আস্ত খাল হয়েছে মনে হয়। সেই খালে বর্ষার জল জমে আরও বিপদ বাড়িয়েছে। সালার স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী আতাউল ইমরান বলেন, রাস্তা তৈরির কয়েকমাসের মধ্যেই এটি বসে গিয়েছিল। রেল দপ্তরকে ওইসময় জানান হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর রেলের গাফিলতির কারণে বর্তমানে রাস্তা মাঠে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। বাসিন্দারা জানান, গত এক সপ্তাহে ওই সামান্য রাস্তায় অন্তত ১০টি বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকি একটি অ্যাম্বুলেন্সও দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়েছিল। সামান্য রাস্তা পেরোতে ১০ মিনিট পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
যদিও স্থানীয় ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কয়েকমাস আগে ওই রাস্তার উপর ডাস্ট ফেলে সাময়িক সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু যান বাহনের চাপে তা কিছুদিনের মধ্যেই আগের অবস্থায় ফিরে আসে। ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, রেল দপ্তরে বহুবার রাস্তা সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আমরা নিজে থেকেই একবার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। রাস্তার দাবিতে আগেও আন্দোলন করা হয়েছিল। আবারও আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে পূর্ব রেলের সালার স্টেশনের এক অফিসার বলেন, রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা ডিআরএম সাহেবকে দুইবার জানান হয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।