মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন সকাল ৯টা নাগাদ তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বাঁকুড়া শহরের স্কুল ডাঙার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সতীঘাট এলাকায় দু’টি মন্দিরে পুজো দেন। পরে বাঁকুড়া-২ ব্লকের মিথিলায় গিয়ে তিনি ভোট দেন। সেখানে থেকে বাঁকুড়া শহরে ডিএফও অফিসের মডেল বুথে যান। বুথে ঢুকে ভোটদান কক্ষে রাখা ইভিএম দেখে চটে যান অরূপবাবু। তিনি ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে বলেন, ইভিএম বাঁকাভাবে বসানো হয়েছে কেন? এরজন্য ভোট কর্মীকে কিছুটা ধমকের সুরেই ইভিএম ঠিকভাবে রাখার কথা বলেন অরূপবাবু। শহরের অন্য একটি বুথেও একই ঘটনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বাঁকুড়া বিধানসভার তাতকানালি গ্রামের বুথে যখন পৌঁছন তখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে ১০টা। অরূপবাবু কর্মীদের কাছে খোঁজ নিলেন বুথের মহিলা ভোটাররা কোথায়? দলের এক কর্মী বলেন, দাদা সকাল ৯টার মধ্যেই অধিকাংশ মহিলা ভোট দিয়ে দিয়েছেন।
কাঞ্চনপুরে দলীয় এক কর্মীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বচসা দেখে তা থামান। অরূপবাবু তালডাংরার ধবনী এলাকার বুথের কর্মীদের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করেন, সবার মুড়ি খাওয়া হয়েছে? এবার এখান থেকে লিড বাড়বে তো। কর্মীরা একসঙ্গে আশ্বস্ত করেন। এভাবেই জঙ্গলমহলের রাইপুর বিধানসভা পর্যন্ত রাস্তায় যেতে যেতে অরূপবাবু একাধিক বুথে যান। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। অরূপবাবু বলেন, ইভিএম ভুলভাবে বসিয়ে ভোটে চক্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছে। তবে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। মহিলাদের ভোট ভালো সংখ্যায় পড়েছে। তাই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।
বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারও এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাঁকুড়ার লোকপুর হাইস্কুলের বুথে এসে সপরিবারে ভোট দেন। সেখান থেকে তিনি গঙ্গাজলঘাটি, মেজিয়া, শালতোড়া, ছাতনা প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দুপুরে খাতড়ায় আসেন। শালতোড়া বিধানসভা এলাকার ঝনকা এলাকায় বুথ থেকে বেরিয়ে আসার সময় জলের দাবিতে তাঁকে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। তাঁরা এলাকায় জলের ব্যবস্থা না হওয়ার অভিযোগ তোলেন। প্রার্থী খাতড়ায় তিনটি বুথে ঘোরেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের উৎসাহ দিতে ছবিও তোলেন।
সুভাষবাবু বলেন, কেন্দ্র জলের জন্য টাকা পাঠিয়েছে। রাজ্য তা অন্য খাতে খরচ করেছে। তবে সেখানে তৃণমূল কর্মীরাই জলের জন্য চিৎকার করেছে। কিছু জায়গায় তৃণমূল গোলমালের চেষ্টা করেছিল। বাহিনী তা প্রতিহত করেছে। মানুষ এদিন নিজের ভোট নিজেই দিয়েছে। তাই জয় নিশ্চিত।
সিপিএম প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্তও সকালে বাঁকুড়ার গোপীনাথপুর প্রাইমারি স্কুলে ভোট দিয়ে বিভিন্ন বুথে ঘুরেন। তিনিও বলেন, ভোটে মানুষের অংশগ্রহণ খুব ভালো। আমরা জিতব।