মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, বড়গাছি গ্রামের বাসিন্দা আশি ঊর্ধ্ব সুভাষ দেবনাথ দীক্ষা দেন। অনেক শিষ্য-শিষ্যা রয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ বাড়িতে এক মহিলা আসেন। সুভাষবাবু জানান, শনিবার ভোরে তাঁদের মালদহ যাওয়ার কথা ছিল। ওই মহিলাও তাদের সঙ্গে মালদহ যাবেন বলে জানান। রাতে খাওয়া দাওয়া করে একটি ঘরে খাটে সুভাষবাবু ও তাঁর স্ত্রী শুয়ে পড়েন। মেঝেতে ওই মহিলা ঘুমোন। যেহেতু পূর্বস্থলী স্টেশন থেকে রাত সাড়ে তিনটের ট্রেন ধরবেন। তাই সকলকে আড়াইটে নাগাদ ডেকে দিতে বলেন। সুভাষবাবুর দিদি হাসিবালা দেবনাথেরও ভাইয়ের সঙ্গে মালদহ যাওয়ার কথা। তাই তিনি রাত দু’টো নাগাদ ভাইকে ডাকতে আসেন। ওই মহিলা ঘর থেকে বেরিয়ে তাঁকে বলেন, যে ট্রেনে যাওয়ার কথা ছিল, তার পরের ট্রেনে যাবেন। এখন তাঁরা ঘুমিয়ে আছেন। হাসিবালাদেবী চলে যান। কিছুটা এগতেই তিনি দেখেন, জুতো বদল হয়ে গেছে। ফের তিনি ভাইয়ের বাড়ি ফিরে আসেন। দেখেন ওই মহিলা বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করতেই ওই মহিলা বলেন, স্নান সেরে ফুল তোলার জন্য বাইরে বেরিয়েছেন। এরপর তিনি আর গুরুত্ব দেননি। এদিকে সুভাষবাবুর ছেলে যুগল দেবনাথ টোটো চালান। তিনি বাবাকে স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকতে আসেন। ঘরে ঢুকে দেখেন তাঁর বাবা ও মা বেঘোরে ঘুমোচ্ছেন। ডেকেও সাড়া মিলছে না। তিনি তাঁর স্ত্রীকে ডাকেন। এদিকে ঘরের আলমারি ও লকার খোলা। মোবাইল নেই। বুঝতে অসুবিধা হয়নি কিছু একটা ঘটেছে। শনিবার ভোরেই বেহুঁশ বাবা-মাকে দ্রুত নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুভাষবাবুর ছেলে বলেন, অনেক জায়গা থেকে চেনা অচেনা মানুষ বাবার কাছে দীক্ষা নিতে আসেন। অনেক শিষ্যশিষ্যা রাতে থেকেও যান। ওই মহিলার বাবার সঙ্গে মালদহ যাওয়ার কথা ছিল। আমাদের মনে হয় রাতে খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে বা স্প্রে করে বাবা-মাকে বেহুঁশ করে লুটপাট করে সব নিয়ে গেছে। বাবা-মা দু’জনের দুপুর পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি। তাই কী কী খোয়া গেছে ও মহিলা পরিচিত কি না, বুঝতে পারছি না। আমরা মহিলার খোঁজ পাইনি। রাস্তার ধারে ভাইয়ের দোকানের সিসি ক্যামেরায় রাত আড়াইটে নাগাদ ওই মহিলাকে চলে যেতে দেখা গেছে। পুলিসকে সব জানানো হয়েছে।