বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফুলদোলে জুঁই, বেল, গোলাপ,পদ্ম, রজনীগন্ধা সহ নানান হালকা সুগন্ধি ফুলে বিভিন্ন মন্দির প্রাঙ্গণ সাজিয়ে তোলা হবে। রাধাকৃষ্ণ, নিতাই-গৌর, গৌর-বিষ্ণুপ্রিয়া, রাধাগোবিন্দ সহ সমস্ত বিগ্রহকে সাজানো হবে ফুলের সাজে। রংবেরঙের সুগন্ধি ফুল দিয়ে তৈরি পোশাক পরানোটাই এদিনের রীতি। পাশাপাশি ফুলের গয়নাও পরানো হবে। এই দিনটিতে নবদ্বীপের শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির, বলদেব মন্দির, জন্মস্থান মন্দির, শ্রীবাস অঙ্গন, রাধা মদনমোহন মন্দির, রাধা মদনগোপাল মন্দির, সরকার পাড়ার গৌরপ্রিয়া সেবাকুঞ্জ সহ বিভিন্ন মন্দিরে ফুলদোল অনুষ্ঠিত হয়।
বলদেব মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত কিশোরকৃষ্ণ গোস্বামী বলেন, দেবতার কখনও গরম বা ঠান্ডা লাগে না। কিন্তু বৈষ্ণবকুল যেহেতু আত্মবৎ সেবা করেন অর্থাৎ নিজে যেমন কষ্ট পান বা আনন্দ পান ঠিক তেমন দেবতাও কষ্ট পান বলে তাঁরা মনে করেন। এটা ধরে নিয়ে তাঁরা সেবা করেন। সেই কারণে এই গ্রীষ্মে মন্দিরে চালানো হয় এসি, ফ্যান। পাকাল প্রসাদের মধ্যে আরেকটি আঙ্গিক হচ্ছে চন্দন যাত্রা। প্রতি বুদ্ধপূর্ণিমার এই তিথিতে ফুলদোল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আমাদের এখানে বলদেব বিগ্রহকে বিভিন্ন ফুলের সাজে সাজানো হয়।
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত লক্ষ্মীনারায়ণ গোস্বামী বলেন, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু আমাদের ঘরের জামাই। ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে এই বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে মহাপ্রভু বিবাহ সূত্রে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এটা যেমন বুদ্ধপূর্ণিমা, তেমন ফুলদোল। একই সঙ্গে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ও মা বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর বিবাহ তিথি। এদিন ধামেশ্বর মহাপ্রভুর মন্দিরে বিবাহ তিথি অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণে এই বিশেষ দিনে মহাপ্রভুকে সকালবেলায় জামাইয়ের পোশাক আর সন্ধ্যায় নববধূর সাজে মা বিষ্ণুপ্রিয়াকে সাজিয়ে তোলা হবে।
বিষ্ণুপ্রিয়া সেবা সমিতির কোষাধ্যক্ষ রাজু ঘোষ বলেন, বুধবার গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দির ও জন্মস্থান মন্দিরে কিছু তত্ত্ব গৌরের পোশাক, ফুলের অলংকার, কিছু মিষ্টি পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নামকীর্তন ও বাদ্যযন্ত্র সহকারে ভক্তরা নবদ্বীপ পরিক্রমা করে গঙ্গা থেকে জল নিয়ে আসবেন। সেই জল দিয়ে রাতে বিবাহ বার্ষিকীর সমস্ত অনুষ্ঠান হবে। একইসঙ্গে এদিন বুদ্ধপূর্ণিমার রাতে রাধারমণ বাগ সমাজ বাড়ি আশ্রমের রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহ নিয়ে সারারাত গঙ্গাবক্ষে নৌকোয় কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকে রাধারমণ বাগ সমাজ বাড়ি আশ্রমে তিনদিনের গঙ্গাবক্ষে চন্দন যাত্রা উৎসব শুরু হয়েছিল।
বুধবার ফুলের পাইকারি দাম ছিল রজনীগন্ধা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, প্রতি পিস পদ্মফুল ১০ টাকা, গোলাপ প্রতি পিস ৫ টাকা, জুঁই ফুলের হালকা মালা প্রতি পিস ৩০ টাকা আর ভারী মালা ৭০ টাকা এবং রজনীগন্ধা ফুলের মালা ৭০ থেকে ১০০ টাকা। তেমনি একটু ভারী মালা প্রতি পিস ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, গাঁদাফুলের মালা প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা।