বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের পুরনো পুজো কমিটিগুলির মধ্যে গুরুংবস্তি সর্বজনীন পুজো কমিটি অন্যতম। বেশ কয়েক বছর ধরে এরা দেব-দেবীর কাহিনি অবলম্বন করেই পুজোর থিম গড়ে। গতবছর মাটির হাঁড়ি দিয়ে বিশাল শিবলিঙ্গ বানিয়ে নজর কেড়েছিল। এবার তাদের নিবেদন ‘মিলন’। পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বন করে শিব-পার্বতীর বিয়ের আসর তৈরি করছে। এজন্য মহানন্দা নদীর পাড়ে মহামায়া কালীমন্দির প্রাঙ্গনে তারা মণ্ডপ বানাচ্ছে। রবিবার দুপুরে প্রচণ্ড রোদের মধ্যেই বাঁশ, কাঠ, প্লাইবোর্ড দিয়ে মণ্ডপের কাঠামো তৈরি করছিলেন শিল্পীরা। গামছা দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে এক শিল্পী বলেন, এখানে পালকি, ছাদনাতলা ও যজ্ঞের বেদি তৈরি করা হবে। মণ্ডপের মাথায় থাকবে একফালি চাঁদ। মণ্ডপে থাকবে মানানসই প্রতিমা।
সেই সময় মণ্ডপ শিল্পীদের ঠান্ডাপানীয় খাইয়ে পুজো কমিটির যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অমিত সাহা ও বিনয় সাহা বলেন, বাঁশ ও কাঠের এই মণ্ডপে ব্রহ্মা, বিষ্ণ সহ বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি থাকবে। মণ্ডপের বাইরের ও ভিতরের দেওয়ালে থাকবে হাতে আঁকা অসংখ্য নকশা। সর্বক্ষণ বাজবে সানাই। আলো ও সাউন্ডের খেলায় ঝলমল করবে গোটা মণ্ডপ। পুজো কমিটির সম্পাদক সন্তোষ সাহা বলেন, এবার এই পুজোর ৬৯ তম বর্ষ। উৎসব মানে মিলন মেলা। তাই সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার বার্তা দিতেই শিব-পার্বতীর বিয়ের আসরকে হাতিয়ার করে ‘মিলন’ থিম গড়ছি। পঞ্চমীর দিন মণ্ডপ পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাচ ও গানের মধ্য দিয়ে শিব-পার্বতীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখানো হবে। এদিকে, বাঘাযতীন কলোনিতে তৈরি হচ্ছে বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির। এরাও বরাবর বিভিন্ন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সাজায়। গতবার আমেরিকার ইসকন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়েছিল। এই পুজো কমিটির নাম বাঘাযতীন মুক্তমঞ্চ দুর্গাপুজো কমিটি। এদিন দুপুরে কমিটির সম্পাদক সুদামা শা বলেন, এবার পুজোর ২৪ তম বর্ষ। বাঁশ, কাঠ, প্লাইবোর্ড, প্লাস্টার অব প্যারিস প্রভৃতি দিয়ে বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছি। মণ্ডপের ভিতরে ও বাইরের দেওয়ালে থাকবে নানান ধরনের নকশা। বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তিও থাকবে। মণ্ডপে সাবেকি প্রতিমা নিয়ে আসা হবে। (শিলিগুড়ি গুরুং বস্তি পুজো কমিটির মণ্ডপ।-নিজস্ব চিত্র।)