বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
শহরে জলসঙ্কট বহুদিনের। ইতিমধ্যে শহরের ২, ৩, ১৫, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৩৮ সহ একাধিক ওয়ার্ডে জলের সঙ্কট তীব্র। কোনও কোনও এলাকায় কল দিয়ে জলই পড়ছে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে ট্যাঙ্কের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। এই অবস্থায় পুজোর ক’দিন জলের চাহিদা আরও বাড়বে। সেই সময় পরিস্থিতি কিছুটা ঘোরালো হতে পারে বলে আশঙ্কা। এর মোকাবিলায় পুরসভা আরও পাঁচটি জলের ট্যাঙ্ক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেয়র গৌতম দেব বলেন, পুজো সময় জলের চাহিদা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। দর্শনার্থীদের জল পান করানোর জন্য বিভিন্ন পুজো কমিটি ট্যাঙ্কের আবেদনও জানায়। কিছুটা সমস্যা হলেও তা মোকাবিলা করা হবে। এজন্যই ট্যাঙ্ক কেনা হচ্ছে। তবে মেগা জল প্রকল্প তৈরির পর এধরনের সমস্যা আর থাকবে না।
এদিন পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করে। পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে তাদের কাছে ট্যাঙ্কের সংখ্যা ২১টি। সবগুলি তিন হাজার লিটারের। নতুন পাঁচটি ট্যাঙ্ক আসার পর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৬টি। মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত বলেন, ওই পাঁচটি ট্যাঙ্ক কেনার টেন্ডার করা হয়েছে। সেগুলি পাঁচ হাজার লিটারের। সবকিছু ঠিকঠাক চললে মহালয়ার আগেই ট্যাঙ্কগুলি শহরে চলে আসবে। পুজোর ক’দিন নতুন ও পুরনো ট্যাঙ্ক মিলিয়েই সমস্যা মোকাবিলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাছাড়া পুজোর ক’দিন অতিরিক্ত কিছু সময় জল সরবরাহ করা হবে। উল্লেখ্য, এখন প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে একঘণ্টা করে জল সরবরাহ করা হয়।
এদিকে, জল সঙ্কট মেটাতে নতুন করে বেশকিছু জায়গায় ডিপ টিউবওয়েল বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে একটি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর কাজের শিলান্যাস করবেন মেয়র। পুরসভা সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গড়তে খরচ হবে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা। এরপর শহরের আরও কিছু জায়গায় এ ধরনের কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে ন’টি জায়গায় ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।