হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
মাস তিনেক আগে নকশালবাড়ি থেকে পানিঘাটাগামী রাজ্য সড়কের পাশে ট্রাফিক বুথ বসানো হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে কখনই ট্রাফিক কর্মীদের দেখা যায় না। বুথটি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে। বুথের পাশে রয়েছে মদের দোকান ও পেট্রলপাম্প। পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন যাত্রীবাহী গাড়ি এই পথে দিয়ে চলাচল করে। এর আগেও পথ দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তা রুখতেই ট্রাফিক বুথ বসানো হয়। তবে মাস দু’য়েক আগে মাঝেমধ্যে একজন আধিকারিক ও সিভিক ভলান্টিয়ার দেখা গেলেও এখন কাউকে দেখা যায় না।
রকমজোতের বাসিন্দা অমিত প্রধান বলেন, এই রাস্তায় ডাম্পার চলাচলে আমরা অতিষ্ঠ। এলাকায় রয়েছে মদের দোকান ও বার। মদ খেয়ে যুবকরা এই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ছুটছে। অথচ ট্রাফিক কর্মী মোতায়েন থাকলে সেটা রোখা যেত। বেলগাছির বাসিন্দা সরজু টিগ্গা বলেন, এলাকার চেঙ্গা নদীর দুর্বল সেতু দিয়ে একাধিক ট্রাক যাতায়াত করছে। অতিরিক্ত মাল বোঝাই করে যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করছে। তা দেখার কেউ নেই। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগের ওসির সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ।
নকশালবাড়ি ট্রাফিক পুলিসের অধীনে ৪৬ জন কর্মী রয়েছেন। তাতে একজন এসআই ও দু’জন এএসআই পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছেন। নকশালবাড়ি রথখোলা থেকে হাতিঘিসাগামী ২ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ে এবং নকশালবাড়ি থেকে কদমা মোড় পর্যন্ত ১৯টি পয়েন্টে ট্রাফিক কর্মীরা মোতায়েন থাকেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, অধিকাংশ ট্রাফিক কর্মীদের সাতভাইয়া ও রথখোলা ট্রাফিক পয়েন্টে দেখা যায়। যদিও ট্রাফিক বিভাগের দাবি, তাদেরকে ১৯ কিমি রাস্তার দেখভাল করতে হয়। সেজন্য পর্যাপ্ত কর্মী নেই।