হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ফাঁসিদেওয়ার গুয়াবাড়ি এলাকায় সাইকেল ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সাইকেল আরোহী গুরুতর জখম হন। তবে ঘটনার পর সাইকেল আরোহীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাইক চালকের হদিস মেলেনি। ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস ঘটনাস্থল থেকে শুধু ওই যুবকের বাইক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই মহানন্দা ক্যানেল রয়েছে। জখম সাইকেল আরোহী সংঘর্ষের পরই জ্ঞান হারানোয় তিনি যুবকের সম্পর্কে কিছু বলতে পারছেন না। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দুর্ঘটনার পর ছিঁটকে বা দৌড়াতে গিয়ে বিনয় ক্যানেলে পড়ে যান। এতে ডুবে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে ক্যানেল থেকে তাঁর দেহ ভেসে ডক নদীতে চলে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনয় মাস দেড়েক আগেই বিয়ে করেছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। এদিকে একমাত্র পুত্রকে হারিয়ে নির্বাক বাবা দেবেন গোপ। তিনি বলেন, শুক্রবার ছেলে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনাস্থলে ছেলেকে পাওয়া যায়নি। নিকটবর্তী হাসপাতাল, এলাকাতেও খোঁজখবর করে পাইনি। এনিয়ে ফাঁসিদেওয়া থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কিন্তু পুলিসের তৎপরতা চোখে পড়েনি।
ফাঁসিদেওয়া থানার এক আধিকারিক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে বাইক চালকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাস্তার উপর থেকে বাইক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি ইফতিকার উল হুসেন বলেন, পুলিস পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে এদিন চোপড়ার মের্ধা বস্তি সংলগ্ন ডক নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হতেই প্রচুর মানুষ ভিড় করে। পরে খবর পেয়ে চোপড়া থানার বিশাল পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।