হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
যদিও এই প্রকল্প নিয়ে চাষিদের অনেকেই সেভাবে জানেন না। নকশালবাড়ির মাল্লাবাড়ির চাষি পবিত্র রায় বলেন, প্রকল্পটি আমাদের জানা নেই। তবে এধরনের প্রকল্পে ধানের বীজ পাওয়া গেলে খুবই উপকৃত হব। খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জের চাষি সঞ্জিৎ সিংহ বলেন, ‘আমার পাঁচ বিঘা কৃষিজমি রয়েছে। তাতে ধান চাষ করছি। কৃষিদপ্তর থেকে এখনও কোনও সহযোগিতা পাইনি।’
নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পৃথ্বীশ রায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ব্লক স্তরের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই প্রকল্পটি শুরু করা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। যদিও ধানের কিছু বীজ এসেছে। এগুলি মঙ্গলবার বিলি করা হবে। খড়িবাড়ি ব্লক কৃষি আধিকারিক ঠাকুর দাস কার্জি বলেন, দীর্ঘদিন পর এবার চাষিরা এনএফএসএম রাইস প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়া হয়। এতে চাষিরা উপকৃত হবেন।
শিলিগুড়ি মহাকুমা কৃষি আধিকারিক অনুপম তরফদার বলেন, মহকুমায় এর আগে প্রকল্পটি চালু ছিল না। তবে খরিফ মরশুমে প্রকল্পটি চালু করা হবে। তাতে ৩০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের জন্য বীজ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ চলে এসেছে। যা সময়ের মধ্যেই চাষিদের মধ্যে বিলি করা হবে। এজন্য মহকুমার ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি ও খড়িবাড়ি ব্লককে বেছে নেওয়া হয়েছে। খরিফ মরশুমে নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া ব্লকে ১০০ হেক্টর করে আমন ধান চাষ করা হবে। এছাড়া বোরো মরশুমে খড়িবাড়িতে চাষ করা হবে ১০০ হেক্টর বোরো ধান চাষ করা হবে। তাতে ব্লকের দুই-তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় ২৫ হেক্টর করে জমি বাছাই করে ধান চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চলে খরিফ শস্যের চাষ। তাতে মহকুমায় ৯০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। এবার আবহাওয়া ভালো। এতে ফলন বাড়তে পারে বলে আশাবাদী কৃষিদপ্তর।