মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ইতিমধ্যেই তিন লক্ষ ৬২ হাজার ৩৪১টি পরিবার পানীয় জলের সংযোগ পেয়ে গিয়েছে। মোট যে ৩২০টি পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, তারমধ্যে কয়েকটি ভাগে কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ হলেই জেলায় আরও প্রায় ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৭২টি পরিবারকে পানীয় জল দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে কোচবিহারের পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের পানিগ্রাম, ঘুঘুমারি, ধলুয়াবাড়ি সহ কয়েকটি জায়গায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে প্রচণ্ড গরমে ওই এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। পিএইচই জানিয়েছে, সেই সমস্যাও খুব শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে। দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত ধর বলেন, কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫২.১৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২৫টি পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বিদ্যুতের সংযোগ পেলেই সেগুলি থেকে জল দেওয়ার কাজ শুরু করা যাবে। পানিশালা এলাকার সমস্যাও মিটে যাবে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলায় মোট ৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ১১৩টি পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছিল। এজন্য মোট খরচ ধরা হয়েছে ১৯৪৬ কোটি টাকা। তারমধ্যে ১৪০০ কোটি টাকার ওয়ার্ক অর্ডার ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। আরও ৩৫ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এই বিপুল অঙ্কের টাকায় ৩২০টি পানীয় জলের প্রকল্প সংস্কার, ১২০টি নতুন প্রকল্প ও ১৬০টি প্রকল্পকে সম্প্রসারণ ও পরিবর্ধনের কাজ চলছে।
জানা গিয়েছে, এরমধ্যে ৩৮টি পানীয় জলের প্রকল্পের সংস্কারের কাজ হয়ে গিয়েছে। ১৬০টি সম্প্রসারণ, পরিবর্ধনের কাজের মধ্যে ছ’টি কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ১২২টি নতুন প্রকল্পের মধ্যে দু’টির কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলির কাজ চলছে। দপ্তরের দেওয়া হিসেব অনুসারে যত সংখ্যক পরিবারে পানীয় জল দেওয়ার কথা তারমধ্যে এখনও ৪৭.৮৭ শতাংশ বাকি রয়েছে। প্রকল্পের এই কাজগুলি শেষ হলেই আগামী দিনে ওই পরিবারগুলি পানীয় জল পাবেন। দপ্তরের দাবি, পানিশালার ঘরঘরিয়া এলাকায় পাইপ লাইনের কাজ হয়েছে। টিউবওয়েলের কাজও হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হলেই সেখানকার সমস্যা মিটে যাবে। মোয়ামারি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পানিশালা এলাকার জলের সমস্যা পুরোপুরি মিটে যাবে।