মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
গত শুক্রবার শিয়ালদহ থেকে হলদিবাড়িগামী দার্জিলিং মেলের প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত কোচে টিকিট কেটে উঠেছিলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অরুণাভ পালচৌধুরী। শনিবার সকালে এনজেপিতে নেমে তিনি অভিযোগ করেন, শিয়ালদহ থেকে একদল যুবক বলপূর্বক কোচে উঠে তাণ্ডব চালায়। তাঁকে আসন থেকে সরিয়ে ব্যাগ ফেলে দেয়। তারপরেই বসে মদ্যপানের আসর। প্রতিবাদ করায় তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ওই যুবকরা নিজেদের রেল পুলিস বলেও দাবি করে।
শনিবার সকালে এনজেপি স্টেশনে জিআরপি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অরুণাভবাবু বলেন, এনজেপি স্টেশনে রেল পুলিস এবং আরপিএফের সামনে দিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। আমি মৌখিকভাবে জানানোর পরেও তারা তৎক্ষণাৎ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পরে লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে তাও নেওয়া হয়নি। শনিবার রাতে এনজেপি জিআরপি থানা থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়, রবিবার দুপুরের মধ্যেই যেন অভিযোগ জমা দিই। সেমতো এদিন দুপুরে চড়া রোদ, অসহনীয় গরমের মধ্যে জিআরপি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। শনিবার রেল পুলিসের অভিযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। উত্তরবঙ্গের রেল পুলিস সুপার সালভা মুরুগান বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রথমে কেন অভিযোগ নেওয়া হয়নি সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।