গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
জয়ন্তবাবু বলেন, আটটি দল নিয়ে এবার এই প্রথম শুরু হচ্ছে বেঙ্গল প্রো টি-২০ ক্রিকেট। প্রতি দলে ১৭ জন করে ক্রিকেটার নেওয়া হয়েছে। স্ট্যান্ডবাইও রাখা হয়েছে। কিন্তু আটটি দলের মধ্যে শিলিগুড়ি ছেলে বলতে একমাত্র অনীক নন্দী রয়েছেন কলকাতা রয়্যালে। হারবার ডায়মন্ডে শুভঙ্কর পুরকায়স্থ স্ট্যান্ডবাই হিসেবে আছেন। এছাড়া সেই অর্থে শিলিগুড়ির আর কোনও ঘরের ছেলে এই প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য কোনও দলে জায়গা পাননি। মূলত জেলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের ভালো প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই প্রতিযোগিতা। সেখানে শিলিগুড়ির ক্রিকেটারদের নাম এভাবে উপেক্ষা করা খুবই হতাশাজনক দিক। কারণ, শিলিগুড়ির বহু ক্রিকেটার কলকাতা লিগে বড় দলের হয়ে দাপিয়ে খেলছেন। রান ও উইকেট পাচ্ছেন তাঁরা। কলকাতা তথা বাংলার ক্রিকেটে এঁরা যথেষ্ট পরিচিত নাম। তারপরেও আশ্চর্যের সঙ্গে দেখলাম তাঁদের কাউকেই এই প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচনা করা হল না। এ নিয়ে শিলিগুড়ির ক্রিকেট মহলেও ক্ষোভ রয়েছে। কারণ, শিলিগুড়ি এবার টি-২০ ক্রিকেট রাজ্য সেরা হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে রাজ্য সেরার সেই স্বীকৃতি কি সিএবি মূল্য দিচ্ছে না? সকলের বক্তব্য, রাজ্য সেরা দলের জনা পাঁচেক ক্রিকেটার সেই কৃতিত্বেই এ ধরনের প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবেন। সেটা না হওয়ায় সকলেই হতাশ।
যদিও শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব কুন্তল গোস্বামীর ভাবনা অন্যরকম। তিনি বলেন, আইপিএলের ধাঁচে এই প্রতিযোগিতা প্রত্যেকটি দল নানান ফ্র্যাঞ্চাইসির অধীনে রয়েছে। শিলিগুড়ির নামে দল রয়েছে বলেই শিলিগুড়ির ক্রিকেটারদের নিতে হবে তার কোনও নিয়ম নেই। কারণ, আমরা আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে বাংলার ক’টা ছেলেকে খেলতে দেখি? এটা একটা ফরম্যাটে হচ্ছে। বাংলার ক্রিকেটকে উজ্জীবিত করা ও জেলার ক্রিকেটারদের বড় প্ল্যাটফর্ম করে দেওয়াটাই এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য। কয়েক বছর পর আমরা বুঝতে পারব সেই লক্ষ্য পূরণে এই প্রতিযোগিতা কতটা সফল হল বা ব্যর্থ।