সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মালদহ আবহাওয়া কেন্দ্রের আবহবিদ তপনকুমার দাস বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৪.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন মালদহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। বৃষ্টির ফলে তা কমে ৩০ ডিগ্রি হয়েছে। এদিন বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আগামী ৩৮ ঘণ্টার মধ্যে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। উপকূলে আঘাত হানলে সারা রাজ্যের সঙ্গে মালদহেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে বজ্রপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হচ্ছে।
পুরাতন মালদহের ছোট সুজাপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে এখনও চাষিদের বোরো ধানের গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। চাষিরা এখনও কাটতে পারেননি। মেশিনে ধান কাটার পরেও অনেকে মাঠেই ডাঁই করে রেখে দিয়েছেন। বৃষ্টি নামায় সেগুলি ত্রিপল ঢাকা দেওয়া রয়েছে। চাষিদের মধ্যে রবিলোচন ঘোষ, সমীর মণ্ডল বলেন, দেরিতে রোপণের ফলে অনেক চাষির ধান পাকতে দেরি হয়েছে। সেই কারণে তা কাটা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির ফলে খেতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ফলে হারভেস্টর মেশিন কয়েকদিন জমিতে নামতে পারবে না। নিম্নচাপের জেরে ফের বৃষ্টি হলে সমস্যা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে মাঠ থেকে বাকি ধান বাড়িতে আনা চাষিদের পক্ষে মুশকিল হবে।
মঙ্গলবার রাতের এক নাগাড়ের বৃষ্টিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে চাঁচল মহকুমার কৃষকদের মধ্যে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে আরও বাড়তে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি চলতে থাকে তবে মাঠে থাকা পাকা ধান থেকে শুরু করে সব্জিতে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, চাঁচল মহকুমা এলাকায় বোরো মরশুমে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। সবেমাত্র কৃষকেরা ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছে। সন্তোষপুরের কৃষক নাজমুল হক বলেন, ঋণ নিয়ে দুই বিঘে জমিতে ধান চাষ করেছি। ঘূর্ণিঝড় ও টানা বৃষ্টি হলে ধান ঝড়ে নষ্ট হতে পারে। চিন্তায় রয়েছি। দিঘা বসতপুরের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টানা বৃষ্টি হলে পটলে পচন ধরতে পারে।
চাঁচল-১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর দেব বলেন, দ্বি-ফসলি জমিগুলিতে বোরো ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলে শস্যবিমায় আওতাভুক্ত কৃষকরা সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।