বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অপূর্ব পাল বলেন, ১৭ মার্চ রায়গঞ্জের মার্চেন্ট ক্লাব ময়দানে নির্বাচন শুরুর আগে জেলা বামফ্রন্টের ডাকে একটি জনসভা হবে। সেখানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, আরএসপি’র রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী, সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদের সদস্য শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়, রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম সহ অন্যান্য নেতৃত্বে উপস্থিত থাকবে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ভারতেন্দু চৌধুরী বলেন, ওই সভায় বামফ্রন্ট নেতৃত্ব যে বার্তা দেবে সেই বার্তা নিয়েই আমরা নির্বাচনের দিন পর্যন্ত জেলাজুড়ে কাজ করব। এখন আমরা জেলার বুথ কমিটিগুলিকে সাজিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রচারের কাজও চালাচ্ছি।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় দীর্ঘদিন ধরেই বামেদের সংগঠন আগের তুলনায় অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন, রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভা নির্বাচন সহ একাধিক নির্বাচনে এখানে বামেরা ভালো ফল করতে পারেনি। গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ আসন থেকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে সেলিম জিতেছিলেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই আসনটিতে নিজেদের প্রার্থীকে জেতাতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না। মহম্মদ সেলিমের মতো হেভিওয়েট নেতা যদি নির্বাচনে পরাস্ত হন তাহলে বামেদের কাছে, বিশেষত সিপিএমের কাছে তা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে আগামী দিনে জেলায় সংগঠন টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। সেই কারণে এই আসনটিতে জয় পেতে বামেরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৭ মার্চ রায়গঞ্জের মার্চেন্ট ক্লাব ময়দানে বামফ্রন্টের ওই সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট দিনে বেলা ১টায় জনসভা শুরু হবে। সিপিএম জেলাজুড়ে সেলিমের হয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। সেলিম নিজেও প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি দেওয়াল লিখন, ছোট ছোট কর্মিসভার মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। এবার মার্চেন্ট ক্লাব ময়দানের জনসভা শেষ হলেই তারা পূর্ণ উদ্যমে প্রার্থীর হয়ে প্রচার শুরু করে দেবে।