প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সম্প্রতি কানাডা সরকার অভিযোগ করেছিল, নিজ্জরের খুনের সঙ্গে কানাডার ভারতীয় হাইকমিশনার সরাসরি যুক্ত। দিল্লির একটি সূত্রের খবর, নিজ্জরের খুনে বারবার ভারতের হাত থাকার কথা বলছে কানাডা। অথচ ভারতের কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে নিজ্জরের ডেথ সার্টিফিকেট দিতে রাজি হচ্ছে না তারা। ওই সূত্রের বক্তব্য, ‘ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতে ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। এটাই আইনি প্রক্রিয়া। নিজ্জর মামলাতেও কানাডার কাছে ওই সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কানাডা ওই সার্টিফিকেট না দিয়ে কী জন্য তা লাগবে, সেই প্রশ্ন তুলেছে।’ নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে অভিযোগ তুললেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেই স্বীকার করেছিলেন, এব্যাপারে তাঁদের হাতে কোনও পোক্ত প্রমাণ নেই।
এরইমধ্যে মন্ট্রিয়লে এক অনুষ্ঠানে ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে তুলনা করে মেলানি জানিয়েছেন, কানাডার পুলিস ভারতীয় কূটনীতকদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের হুমকি ও ভয় দেখানোর ঘটনার যোগ খুঁজে পেয়ছেন। সম্প্রতি কানাডার ছয়জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ভারত। কানাডাও ছয় জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। মেলানির বক্তব্য, ‘আমাদের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। আমরা ইউরোপে এমন ঘটতে দেখেছি। জার্মানি ও ব্রিটেনের মাটিতে রাশিয়া এমন কাজ করত। আমাদের এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।’ ভারতের বাকি কূটনীতিকদেরও বহিষ্কার করা হবে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে মেলোনি বলেন, ‘ওঁদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। ছয়জনকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিরা মূলত টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভারে রয়েছেন। ভিয়েনা চুক্তি ভাঙলে কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।’