প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
মুডা জমি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া ও তাঁর আত্মীয়দের। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর পরিবারের কারও বাসভবনে তল্লাশি চলোনা হয়নি বলে সূত্রের খবর।
এদিন সকাল প্রায় ১১টা থেকে ২০ জন ইডি আধিকারিক দু’টি দলে ভাগ হয়ে এই অভিযানে অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফের জওয়ানরা। তল্লাশির সময় বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, মুডার কর্মীদের থেকে বিভিন্ন নথিপত্রের খোঁজ করেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তের স্বার্থে ওই সব নথি বাজেয়াপ্তও করতে পারেন তাঁরা। অন্তত দু’দিন এই তল্লাশি চলতে পারে। ইডির তল্লাশিকে স্বাগত জানিয়েছে কর্ণাটকের বিরোধী দল বিজেপি এবং জেডিএস। তাদের দাবি, ইডির তদন্তের পরই এই দুর্নীতির পর্দাফাঁস হবে ও সত্য সামনে আসবে। কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোক বলেন, ‘তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে। এই টাকা ফিরে এলে সরকারেরই লাভ হবে। কংগ্রেসের এই তল্লাশি অভিযানকে স্বাগত জানানো উচিত।’ মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিকে, মুডা জমি কেলেঙ্কারিকে ‘সবচেয়ে জঘন্য দুর্নীতি’র তকমা দিয়েছেন জেডিএস নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামী। তিনি বলেন, ‘লোকায়ুক্তের পক্ষে এই মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করা সম্ভব নয়। দেখা যাক, ইডির তদন্তে কী প্রকাশ পায়।’
মুডার ১৪টি জমির প্লট বেআইনিভাবে বণ্টন করার অভিযোগ উঠেছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই লোকায়ুক্তের এফআইআরের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট (ইসিআইআর) দায়ের করেছিল ইডি। বিতর্কের মধ্যেই বুধবার স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে মুডার চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কে মারিগৌড়া।