প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
গত মে মাসে মৃত্যু হয়েছিল হামাস গোষ্ঠীর তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়ার। তারপর প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র সংগঠনের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়েছিল ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হাতে। বুধবার দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে সেনা অভিযানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ড্রোন ক্যামেরায় তোলা শেষ মুহূর্তের একটি ভিডিও প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। দেখা গিয়েছে, ইজরায়েলি বোমায় একটি ভবন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধূলোয় মিশে গিয়েছে কংক্রিটের দেওয়াল। সেখানে একটি ঘরে চেয়ারে বসে রয়েছেন সিনওয়ার। তাঁর সমস্ত সমস্ত শরীর ধূলোয় ঢাকা। গুরুতর আহত ছিলেন তিনি। ড্রোন ক্যামেরা কাছে যেতেই কোনওরকমে একটি লাঠি ছুড়ে মারতে দেখা যায়। তারপরই খতম সিনওয়ার। দু’জন হামাস যোদ্ধার দেহও উদ্ধার হয়েছে। ইজরায়েলের পক্ষে সিনওয়ারকে হত্যা করা এতটা সহজ ছিল না। তাঁর খোঁজ পেতে দক্ষিণ গাজার প্রতিটি ভবনে তল্লাশি চালিয়েছিল আইডিএফ এবং আইএসএ (শিন বেট ইন্টারনাল সিকিউরিটি এজেন্সি)। আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ড্রোন ক্যামেরার ফুটেজে সিনওয়ার ও তাঁর দুই সঙ্গীকে একটি বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে পালাতে দেখা যায়। তখন গুলি চালালে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান তাঁরা। হামাস প্রধান একটি ভবনে একাকী আটকে পড়েন। তাঁর কাছে একটি বন্দুক ছিল। ওই অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করলে সেনারা গুলি চালায়।
২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের মাটিতে রকেট হামলা চালিয়েছিল হামাস। মৃত্যু হয়েছিল হাজারের বেশি ইজরায়েলি নাগরিকের। হামাসের এই হামলার নেপথ্যে ছিলেন সিনওয়ারই। ৬১ বছর বয়সি হামাস প্রধানের ২৪টি বছর কেটেছে ইজরায়েলের জেলে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরে তাঁর জন্ম। গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার
সময় থেকে জেহাদি কার্যকলাপে হাতেখড়ি। ইজরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। আইডিএফের মুখপাত্র বলেন, ‘গাজায় আমাদের অভিযানের লক্ষ্য সফল হয়েছে। খতম হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গত বছরের ৭ অক্টোবর আমাদের দেশে নৃশংস হামলার জন্য দায়ী সিনওয়ার। সমস্ত বন্দিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত তাঁদের অভিযান চলবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। হামাসের হাতে এখনও ১০১ জন বন্দি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৩ জন বিদেশি।