রাষ্ট্রসঙ্ঘ: একদিকে সম্পদের প্রাচুর্য। রণহুঙ্কার। অন্যদিকে অভাবের অন্ধকার। সারা বিশ্বই ক্ষুধায় পুড়ছে। বিশ্বে একশো কোটিরও বেশি মানুষকে যুঝতে হচ্ছে চরম দারিদ্রের সঙ্গে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। আর এই চরম দারিদ্র পীড়িতদের অর্ধেকর বেশি শিশু। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলিতে এমন দারিদ্রের হার তিনগুণ বেশি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০২৩ সালই সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ দেখেছে। আর এর ধাক্কা অগনিত মানুষকে ঠেলে দিয়েছে অবর্ণনীয় দুর্দশার অন্ধকারে। বিশ্বের চরম দারিদ্রে যারা দিন কাটাচ্ছে, তাদের ৮৩.২ শতাংশই সাব-সাহারান আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় বাসিন্দা। সংখ্যার নিরিখে ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যে দিন কাটাচ্ছে। এর পরেই রয়েছে পাকিস্তান, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো। সারা বিশ্বের হতদরিদ্রদের প্রায় অর্ধেকই এই পাঁচটি দেশের বাসিন্দা।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই রিপোর্ট অক্সফোর্ড পভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপেমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ওপিএইচআই)-এর সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। তারা ১১২টি দেশের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের বার্ষিক বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচক ২০১৩ সাল থেকে প্রকাশ করে আসছে। এই দেশগুলির সম্মিলিত জনসংখ্যা ৬৩০ কোটি। পর্যাপ্ত বাসস্থান, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রান্নার জ্বালানি, পুষ্টি ও স্কুলে পড়াশোনার সুযোগের অভাবের মতো সূচককে রিপোর্টে দারিদ্রের মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়। ইউএনডিপি-র মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ ইয়ানচুন ঝ্যাং জানিয়েছেন, বিশ্বে বহুমুখী দারিদ্রের শিকার ১১০ কোটি মানুষ। এর মধ্যে ৪৫ কোটি ৫০ লক্ষ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলির।