প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে একাধিক খুন এবং ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’-এর অভিযোগ ওঠে। এই প্রসঙ্গে দুটি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে দায়ের হয়। ওই মামলাগুলির প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মোরতুজা।
কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় বাংলাদেশে। সেই আন্দোলনের সময়ে হিংসার বলি হন ৬০০-র-ও বেশি মানুষ। ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ নেয় আন্দোলন। গণভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান আন্দোলনকারীরা। এমনকী তাঁরা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তিও ভাঙেন। ভাঙচুর চালানো হয় আওয়ামি লিগের কার্যালয়েও। সেই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসিনা। শুধুই পদত্যাগ নয়, নিজের বোন রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। আগরতলা হয়ে নয়াদিল্লির উদ্দেশে তিনি রওনা দেন।
গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছিল, হাসিনা সরকারের আমলে ছাত্র আন্দোলনের সময়ে প্রচুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িতদের বিচার করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি)।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের তদন্তের জন্য ২০১০ সালে হাসিনা সরকার এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি) প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু স্বচ্ছতার অভাবে এটি একাধিকবার রাষ্ট্রসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির সমালোচনার শিকার হয়। অভিযোগ ওঠে, হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই এটি স্থাপন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে হাসিনার আমলে ঘটে যাওয়া গণহত্যা এবং অন্যান্য অপরাধের তদন্ত করছে এই ট্রাইবুনাল।